পরিচারক-পরিচারিকাদের সংগঠন করার অধিকার দিল রাজ্য সরকার। প্রতীকী ছবি
পশ্চিমবঙ্গের কয়েক লক্ষ গৃহ পরিচারক-পরিচারিকা শ্রমিকের মর্যাদা পেতে চলেছেন। এ বার আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁদের সংগঠন তৈরি করার আইনি স্বীকৃতি দিতে চলেছে রাজ্য শ্রম দফতর। রাজ্যে ঠিক কত মানুষ গৃহস্থালির কাজে যুক্ত, সেই পরিসংখ্যান শ্রম দফতরের কাছে নেই। এই বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষকে সংগঠিত করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ট্রেড ইউনিয়ন দীর্ঘকাল ধরেই সক্রিয়। বাম আমল থেকেই সিপিএম, এসইউসিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক প্রভৃতি দলের শ্রমিক সংগঠন তাঁদের নিয়ে ইউনিয়ন করার আবেদন জানালেও সরকার কাউকে রেজিস্ট্রেশন দেয়নি। কিন্তু সম্প্রতি শ্রমমন্ত্রী বেচারাম মান্না শ্রম দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠক করে তাঁদের সংগঠন বা ইউনিয়ন তৈরির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
শ্রমমন্ত্রী তাঁদের সংগঠন তৈরির দাবি সংক্রান্ত ফাইলে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছেন। তার ভিত্তিতে চলতি সপ্তাহেই অন্তত তিনটি সংগঠনকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেবে শ্রম দফতর। এই তিনটি সংগঠন তৈরি হলে তাঁদের বহু সরকারি সুযোগসুবিধা দেওয়া যাবে বলেই জানিয়েছেন শ্রম দফতরের এক আধিকারিক। মূলত অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য নানা ধরনের সামাজিক সুরক্ষার বন্দোবস্ত-সহ রাজ্য সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা গৃহ পরিচারক-পরিচারিকারা পেতে পারবেন। ২০০৫ সাল থেকেই গৃহ পরিচারক-পরিচারিকাদের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ডের মতো সামাজিক সুরক্ষার সুবিধা চালু রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু এখনও সেই সুবিধা সে ভাবে পান না তাঁরা। কিন্তু এ বার সংগঠন তৈরির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সেই অধিকারই দিতে চলেছে তাঁদের।
শ্রম দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আইনগত ভাবে সংগঠন গড়ার অধিকার এই ধরনের শ্রমজীবী মানুষের রয়েছে। অনেক ভেবেচিন্তেই শ্রম দফতর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের পারিশ্রমিক সংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দফতর খুব শীঘ্র পদক্ষেপ করতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy