মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতো রাজ্য জুড়ে চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি। সে কারণেই রাজ্য জুড়ে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে পুরসভার ওয়ার্ড স্তর পর্যন্ত একাধিক শিবিরের আয়োজন করবে রাজ্য সরকার। ওই শিবির থেকে স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো সরকারি পরিষেবা সংক্রান্ত মানুষের যাবতীয় অভিযোগ শুনবেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। আজ, মঙ্গলবার থেকেই ওই শিবিরগুলি খোলা হবে। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ৪ রাউন্ডে ২০ হাজার শিবির খোলা হবে রাজ্য জুড়ে। শিবির চলবে দু’মাস ধরে।
রাজ্য সরকারের ১০টিরও বেশি প্রকল্পের সুযোগসুবিধা থাকবে ওই শিবিরে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার নথি সংক্রান্ত কোনও ভুল থাকলে, তা-ও সংশোধন করা যাবে এই শিবির থেকে। শিবির পরিচালনা করবেন বিডিও, মহকুমাশাসক, জেলাশাসক ও পুলিশ সুপাররা। গত ২৬ নভেম্বর রাজ্য সরকার নির্দেশিকা জারি করে ওই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিল। কর্মসূচি চলবে ১ ডিসেম্বর থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। সেই মতো মঙ্গলবার থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হচ্ছে ওই কর্মসূচি।
এই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, শিক্ষাশ্রী, রূপশ্রী ও কৃষক বন্ধুর মতো ১০টি প্রকল্প রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করার কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পে রাজ্যের প্রতিটি পরিবার ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচিতে ওই পরিবারগুলিকে ১ দিনের মধ্যে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেওয়ার কথা সোমবার জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।