এলাকা চিহ্নিত করে ঘিরে ফেলা হবে সংক্রমণকে। তার পরে দ্রুত এবং প্রচুর টেস্ট করিয়ে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে করোনায় সংক্রামিতদের। যাঁদের সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করবেন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ, তাঁদেরও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। এই ভাবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ছিঁড়ে দেওয়া হবে সংক্রমণের সুতোটাকেই। এই কৌশল নিয়েই এ বার মাঠে নামল রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
করোনা মোকাবিলার এই কৌশল সোমবার লিখিত ভাবে প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্য বিভাগের সব শীর্ষকর্তাকে সেই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে এবং প্রত্যেক জেলা বা স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে। লিখিত নির্দেশিকায় খুব স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, ‘হাই রিস্ক স্পটগুলি’তে কী ভাবে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে, রাজ্যের কোন কোন এলাকায় সংক্রমণ বেশি, তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। সেই সব এলাকাকেই ‘হাই রিস্ক স্পট’ বলা হচ্ছে। ওই এলাকাগুলোয় নজরদারি অনেকটা বাড়িয়ে এবং দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে অবিলম্বে সংক্রমণের শৃঙ্খলটা ভেঙে দিতে হবে— স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন স্তরকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।