Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

সরশুনায় বিক্ষোভ, পুলিশ ডাকলেন অধ্যক্ষ

প্রয়োজনীয় হাজিরা নেই, তবু পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবি শনিবার ছড়িয়ে প়ড়ল বেহালার সরশুনা কলেজেও।

বেহালার সরশুনা কলেজ।—ফাইল চিত্র।

বেহালার সরশুনা কলেজ।—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:১২
Share: Save:

প্রয়োজনীয় হাজিরা নেই, তবু পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবি শনিবার ছড়িয়ে পড়ল বেহালার সরশুনা কলেজেও। বিক্ষোভের মুখে পড়ে পড়ুয়াদের দিয়ে হাজিরা খাতা পরীক্ষা করিয়েছেন অধ্যক্ষ শুভঙ্কর ত্রিপাঠী। হাজিরা খাতা পড়ুয়ারা নিজেদের কম হাজিরার প্রমাণ পেয়েছেন। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামাননি। শেষে পুলিশ ডেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম থেকে এক চুলও সরব না। যাঁদের প্রয়োজনীয় হাজিরা নেই তাঁদেরও পরীক্ষায় বসতে দিলে বাকি পড়ুয়াদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়।’’

‘চয়েজ বেসড ক্রেডিট সিস্টেম’ (সিবিসিএস) চালু হওয়ার পরে কলেজে-কলেজে হাজিরার কড়াকড়ি করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই হাজিরা না থাকা পড়ুয়ারা পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার দাবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। দীর্ঘ ক্ষণ ঘেরাও হয়ে থাকছেন অধ্যক্ষেরা। জয়পুরিয়া কলেজ থেকে আবার হাজিরা খাতাই লুঠ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সরশুনা কলেজে বি কম প্রথম সেমেস্টারে অন্তত ২০০ জন পড়ুয়ার হাজিরা ৬০ শতাংশের কম থাকায় তাঁদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তার পরেই এ দিন সকালে কলেজে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তালিকায় নাম থাকা পড়ুয়ারা। শুভঙ্করবাবু বলেন, ‘‘বাইরের কলেজের ছেলে-মেয়েরা আমাদের ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তার মধ্যেই পড়ুয়াদের বিক্ষোভ করেছেন, গালিগালাজ করেছেন। তাঁদের এমন আচরণে বাধ্য হয়েই পুলিশ ডেকেছি।’’ শুভঙ্করবাবুর দাবি, ‘‘ওঁদের মারমুখী আচরণ দেখে হাজিরা খাতা খুলে দিতে হল। বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারাই গুণে দেখলেন। ভুল নেই দেখেও থামলেন না!’’

বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, কলেজই তাঁদের ভুল পথে চালিত করেছে। সরশুনা কলেজ সূত্রের খবর, পড়ুয়াদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখতে চলতি শিক্ষাবর্ষেই পড়ুয়াদের জন্য একটি মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশন বানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। ৩০ সেপ্টেম্বর কলেজের তরফে পড়ুয়াদের মেসেজ পাঠিয়ে হাজিরার পরিসংখ্যান জানানো হয়েছিল। অভিযোগ, সেই মেসেজে ৭০%, ৭৫% হাজিরা রয়েছে এমন অনেক পড়ুয়ারই নাম রয়েছে কলেজের তালিকায়। পড়ুয়াদের প্রশ্ন, এটা হয় কী করে?

শুভঙ্করবাবু বলেন, ‘‘কলেজ জুলাই মাস থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাজিরার হিসেব মেসেজ করে জানানো হয়েছিল। তার পরেও দু’মাস ক্লাস হয়েছে। ৭০ শতাংশ দেখে যাঁরা আর বাকি দু’মাস আসেননি তাঁদের হাজিরার শতাংশ কখনও এক থাকতে পারে না।’’ তবে তিনি এটাও মেনে নিয়েছেন, ‘‘যান্ত্রিক সমস্যার জন্য কয়েকটি মেসেজে ভুল হিসেব গিয়েছিল। সেগুলি পরে ঠিক করে দেওয়া হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sarsuna College Student Agitation Attendance
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE