কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীকে।
কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হল শুভেন্দু অধিকারীকে। মঙ্গলবার কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের দফতরে ১০ জন বোর্ড সদস্য তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেন। কিন্তু শুভেন্দু শিবির এই অপসারণকে অবৈধ বলে পাল্টা যুক্তি দেখিয়েছে। বলা হয়েছে, নিয়মবর্হিভুতভাবে বৈঠক ডেকে এই কাজ করা হয়েছে। শুভেন্দু বিজেপি-তে যোগদানের পর থেকেই তাঁকে কাঁথি-সহ ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক ও কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কেরচেয়ারম্যান পদ থেকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছিল শাসকদল তৃণমূল। কয়েকটি ক্ষেত্রে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত পৌঁছেছিল। কিন্তু নন্দীগ্রামের বিধায়ককে সরানো যায়নি।
এই কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের বিষয়টি নিয়েও আদালতে গিয়েছে দু’পক্ষই। কিন্তু শুভেন্দু শিবিরের অভিযোগ, সমবায় আইন অনুযায়ী এই ধরনের বৈঠক ডাকার অধিকারী সমবায় ব্যাঙ্কের চিফ এগজিকিউটিভ পার্থপ্রতিম পতি। কিন্তু তিনি গত শনিবার থেকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটিতে গিয়েছেন। এমতাবস্থায় আইন না মেনে সরানো হয়েছে শুভেন্দুকে। তবে পাল্টা কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের এক তৃণমূলের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আগেও এই ধরনের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু চিফ এগজিকিউটিভ তা বাতিল করে দেন। সমবায় বোর্ডে সাতজন সদস্য বৈঠক ডেকে নোটিস দেন। কিন্তু তা আদালতে চ্যালেঞ্জড হয়। পরে আদালত এই বৈঠক ডাকার অনুমতি দেয়। নির্দেশমাফিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সমবায়ের নিয়ম মেনেই শুভেন্দুকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কাঁথি সমবায়ে তৃণমূলের দাবি খারিজ করে শুভেন্দু শিবির দাবি করেছে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ম মেনে আগেই এই বৈঠক বাতিলের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। তাই এই বৈঠক কোনওভাবেই বৈধ বলে প্রমাণ করা যাবে না। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে এই লড়াই যে এখানেই থেমে থাকবে না তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কে থাকা শুভেন্দু অনুগামীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy