Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

দু’দশক পেরিয়ে ন্যূনতম পেনশনের নির্দেশ ক্যাটের

নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (ক্যাট)। শুক্রবার ক্যাটের বিচারপতি বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে ওই নির্দেশ দিয়েছেন।

রেলের এক কর্মীকে ন্যূনতম পেনশন (‘কমপ্যাশনেট অ্যালাওয়্যান্স’) দিতে নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (ক্যাট)।

রেলের এক কর্মীকে ন্যূনতম পেনশন (‘কমপ্যাশনেট অ্যালাওয়্যান্স’) দিতে নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (ক্যাট)।

শমীক ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ মার্চ ২০১৯ ০৩:২২
Share: Save:

কুড়ি বছর আগে বরখাস্ত হওয়া রেলের এক কর্মীকে ন্যূনতম পেনশন (‘কমপ্যাশনেট অ্যালাওয়্যান্স’) দিতে নির্দেশ দিল সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (ক্যাট)। শুক্রবার ক্যাটের বিচারপতি বিদিশা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলকে ওই নির্দেশ দিয়েছেন।

রেল সূত্রের খবর, কল্যাণ ঘোষ নামে ওই কর্মী আলিপুরদুয়ারের ‘সিনিয়র গুডস ক্লার্ক’ পদে কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি কলকাতায়। ১৯৯৭ সালে স্ত্রীর অসুস্থতার জন্য তিনি সাত দিনের ছুটি নেন। পরে স্ত্রীর অসুস্থতা আরও বাড়লে তিনি তাঁকে নিয়ে কলকাতায় চলে আসেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে টেলিগ্রাম করে ছুটির মেয়াদ বাড়ানোর অনুরোধ জানান।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের তৎকালীন সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার ওই কর্মীর ছুটির মেয়াদ বাড়াননি। উল্টে কর্মীর বিরুদ্ধে ১৯৯৭ সালেই শৃঙ্খলাভঙ্গের ব্যবস্থা নেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করে ওই কর্মী জানান, তাঁর স্ত্রী পুরোপুরি সুস্থ হননি। উপরন্তু তাঁর চোখও গ্লুকোমায় আক্রান্ত। সেই কারণে তিনি কাজে যোগ দিতে পারেননি। আপিল খারিজ করে দেন রেল কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

তার পরে ক্যাটের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই কর্মী। তাঁর আইনজীবী কল্যাণ সরকার জানিয়েছেন, ক্যাটে দায়ের করা মামলার আবেদনে বলা হয়, ১৯৮৩ সাল থেকে ওই কর্মী চাকরি করছেন। রেলের নিয়ম অনুযায়ী এক টানা দশ বছর কাজ করলেই পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেন কোনও কর্মী। ওই কর্মী ১৪ বছর কাজ করছেন। তাই তাঁকে ন্যূনতম পেনশন দেওয়া হোক। রেলের আইনজীবী ক্যাটে জানান, কর্তৃপক্ষ ওই কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন। তিনি ন্যূনতম পেনশন পাওয়ার যোগ্য নন।

আইনজীবী কল্যাণবাবু আদালতে জানান, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে অভব্য আচরণ বা ওই জাতীয় কোনও অভিযোগ নেই। তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য। কিন্তু ২০০৮ সালের রেল বোর্ডের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অভব্য আচরণের অভিযোগ না থাকলে কোনও কর্মীকে ন্যূনতম পেনশন থেকে বঞ্চিত করা যায় না। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ক্যাট উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়, তিন মাসের মধ্যে ওই কর্মীর ন্যূনতম পেনশনের ব্যবস্থা করতে।

রেলের এক কর্তা শনিবার জানান, ক্যাটের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আপিল করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Railway CAT Pension
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE