Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

খাতা যাচাইয়ে ত্রুটি, তলব পরীক্ষকদের

উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র রিভিউ করতে নম্বর বেড়েছিল ছ’হাজার পরীক্ষার্থীর। সেই সুবাদে মেধা-তালিকায় ঢুকে পড়েছিলেন আরও চার জন। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, ওই সব উত্তরপত্র যাচাইয়ে কিছু ত্রুটি, কিছু গাফিলতি থেকে গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০১৮ ০২:১৯
Share: Save:

উচ্চ মাধ্যমিকের উত্তরপত্র রিভিউ করতে নম্বর বেড়েছিল ছ’হাজার পরীক্ষার্থীর। সেই সুবাদে মেধা-তালিকায় ঢুকে পড়েছিলেন আরও চার জন। কিন্তু পরে দেখা গিয়েছে, ওই সব উত্তরপত্র যাচাইয়ে কিছু ত্রুটি, কিছু গাফিলতি থেকে গিয়েছে। তাই ওই সব উত্তরপত্র যাচাইয়ের সঙ্গে যুক্ত পরীক্ষকদের তলব করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের পরীক্ষা বিভাগ। সংসদ সূত্রের খবর, শতাধিক পরীক্ষককে চিহ্নিত করে তাঁদের ডেকে পাঠানো হয়েছে সংসদে।

উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বরের ভিত্তিতে স্নাতকে ভর্তি হন ছাত্রছাত্রীরা। প্রেসিডেন্সি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে প্রবেশিকা পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর সমান গুরুত্বপূর্ণ। স্কুল-শেষের সেই পরীক্ষার খাতা পরীক্ষায় ত্রুটি থাকাটা যতটা দুর্ভাগ্যের, পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ততটাই ক্ষতিকারক। এটা মাথায় রেখে ২০১৮ সালের পরীক্ষার আগেই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল সংসদ। তাতে বলা হয়েছিল, উত্তরপত্র মূল্যায়নে সাবধানি হতে হবে। মূল্যায়ন ব্যবস্থা ত্রুটিমুক্ত করতে এ বারেই প্রথম রীতিমতো হলফনামায় স্বাক্ষর করতে হয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। উত্তরপত্র জমা দেওয়ার পরেও সব কিছু ঠিক আছে বলে ফের হলফনামা দিতে হচ্ছে তাঁদের। তার পরেও ত্রুটি কেন? সেটা জানতেই এই তলব বলে জানাচ্ছে পরীক্ষা বিভাগ।

সংসদ সূত্রের খবর, নিয়ম অনুযায়ী এক জন শিক্ষক বা শিক্ষিকা কোনও উত্তরপত্র দেখে নম্বর দেওয়ার পরে খাতা স্ক্রুটিনি করেন অন্য এক জন। তার পরে প্রধান পরীক্ষক সেই খাতা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত নম্বর ঠিক করেন। যে-ছ’হাজার উত্তরপত্রের নম্বর বেড়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখার পরে সংসদের কাছে দু’টি তথ্য উঠে এসেছে। প্রথমত, কোনও একটি উত্তরে শিক্ষক যে-নম্বর দিয়েছিলেন, রিভিউয়ের পরে অন্য শিক্ষকের মনে হয়েছে, সেখানে নম্বর বাড়তে পারে। এ ভাবে কিছু নম্বর বেড়েছে। দ্বিতীয়ত, দেখা গিয়েছে, কোনও কোনও উত্তরের জন্য নম্বর দিলেও সেই নম্বর যোগ করা হয়নি। এমনকি কিছু উত্তরের ক্ষেত্রে নম্বরই দিতে ভুলে গিয়েছেন পরীক্ষক!

সংসদের সভানেত্রী মহুয়া দাস জানান, প্রথম ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্বাধীনতা আছে। সেখানে সংসদের কিছু বলার নেই। তবে দ্বিতীয় ক্ষেত্রে বলার বা করার নিশ্চয়ই আছে। ‘‘শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে-হেতু হলফনামায় স্বাক্ষর করেছিলেন, তাই পরীক্ষা বিভাগ তাঁদের তলব করতেই পারে। তবে গত বছরের থেকে এ বার ত্রুটির সংখ্যা অনেক কমেছে।

মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত করতে চায় সংসদ। সেটাই করা হচ্ছে,’’ বলেন মহুয়াদেবী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Review Scrutiny Higher Secondary Teacher
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE