পিনকন কর্তা মনোরঞ্জন রায়ের গোপন সম্পত্তির হদিস পাওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্যের আর্থিক অপরাধ দমন শাখা (ডিইও)। এ জন্য মনোরঞ্জন ও তাঁর স্ত্রীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান তদন্তকারীরা।
ডিইও-র তদন্তকারীদের ধারণা, বেনামে মনোরঞ্জন সহ বাকি কর্তাদের প্রচুর গোপন সম্পত্তি রয়েছে। ডিইও সূত্রের দাবি, আমানতকারীদের কাছ থেকে তোলা টাকা পিনকন কর্তা বিদেশেও পাচার করেছেন। মনোরঞ্জনকে জেরার পরে বিদেশে টাকা পাচারের ক্ষেত্রে একাধিক প্রভাবশালীর নাম উঠে এসেছে। ডিইও সূত্রের খবর, ওই প্রভাবশালীরা নানা সময়ে বিদেশ ভ্রমণে যান। তাঁদের মাধ্যমেই পিনকন কর্তা টাকা পাচার করেছেন। বিদেশ টাকা পাচারের ক্ষেত্রে একটি ভ্রমণ সংস্থার নামও উঠে এসেছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
সম্প্রতি রাজস্থান পুলিশের হেফাজত থেকে ডিইও-র হেফাজতে নেওয়া হয়েছে মনোরঞ্জনকে।
এখনও পর্যন্ত এ রাজ্যে পিনকনের বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা, পিনকন স্পিরিট কারাখানা, জমি, মদের দোকান, গেস্ট হাউস— সব মিলিয়ে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ডিইও সূত্রে জানা গিয়েছে। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থার নাম করে আমানতকারীদের কাছে থেকে এ পর্যন্ত পিনকন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা তুলেছে বলে তাঁরা হিসেব করে দেখেছেন।
রাজস্থান পুলিশ মাস দেড়েক আগে পিনকন কর্তাকে গ্রেফতার করার কয়েক দিন পরেই একটি মামলায় কলকাতা পুলিশের হেয়ার স্ট্রিট থানা পিনকনের রেডক্রস প্লেস অফিস সিল করে দিয়েছিল। ডিইও সূত্রের সূত্রের খবর, পিনকন কর্তার স্ত্রী মৌসুমীকে গ্রেফতার করার পরে কলকাতায় ওই অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। অভিযোগ, তল্লাশির আগেই ওই অফিস এবং পিনকনের শেক্সপিয়র সরণির অফিস থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি সরিয়েফেলা হয়েছে।
মনোরঞ্জনের ঘনিষ্ঠ ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার আর এক কর্তার খোঁজেও রয়েছেন তদন্তকারীরা। ওই কর্তা রাষ্ট্রায়াত্ত একটি ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজার। আমানতকারীদের টাকা নয়-ছয়ে ওই কর্তার বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করছেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy