পুলিশের দেওয়া নথিই শুধু নয়, স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে নামছে এনআইএ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, পুলিশের কাছ থেকে সরকারি ভাবে এফআইআরের কপি সংগ্রহের পরেই ধাপে ধাপে এই তদন্ত শুরু হবে।
দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে যে মামলাগুলি ইউএপিএ-তে দাখিল করা হয়েছে, সেগুলিরই তদন্ত করবে এনআইএ। সাধারণত এই ধরনের মামলায় রাজ্যের সম্মতি না নিয়েও তদন্তভার নিতে পারে এনআইএ। বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, এই ছ’টি মামলার মধ্যে কালিম্পঙে বিস্ফোরণের ঘটনায় দু’জন ও দার্জিলিঙে বিস্ফোরণের ঘটনায় এক জন গ্রেফতার হয়েছে। অগস্ট-সেপ্টেম্বরে মামলাগুলি দায়ের করা হয়েছে। ফলে এখনও মামলাগুলিতে চার্জশিট দেওয়ার সময় আসেনি। আর অমিতাভ মালিকের মৃত্যু সদ্য ঘটনা।
পুলিশ সূত্রের খবর, দার্জিলিং জেলায় চকবাজারে বিস্ফোরণ, সিংলার জঙ্গলে অস্ত্র উদ্ধার, রংলি রংলিয়ত থানায় হামলা এবং তিস্তা বাজারে বিস্ফোরণ ঘটনায় ইউএপিএ প্রয়োগ করা হয়। বিমল গুরুঙ্গ-সহ একাধিক মোর্চা নেতার নামে ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের হয়। তেমনই, কালিম্পং থানায় বোমা বিস্ফোরণ এবং পেডং থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনাতেও গুরুঙ্গদের নামে ওই ধারায় মামলা হয়েছে। বর্তমান তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলগুলি থেকে মিলেছে ডিটোনেটর, জিলেটিন স্টিক, আইইডি। মিলেছে অন্য কিছু নথি ও প্রমাণও। এই সবই খতিয়ে দেখা হবে বলে এনআইএ সূত্রে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy