Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কৃষিবিজ্ঞানীর পদ পূরণে অদ্ভুত জট

গত ডিসেম্বরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিজ্ঞানী নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের কৃষি দফতরের আপত্তিতে তা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। কবে ওই সব পদে নিয়োগ শুরু হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল অন্ধকা

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

পিনাকী বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ মার্চ ২০১৮ ০৩:৫৮
Share: Save:

বেতন-ভাতা জোগায় কেন্দ্র। তা সত্ত্বেও বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন বিভিন্ন কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে দীর্ঘদিন ধরে কৃষিবিজ্ঞানী-সহ বিভিন্ন পদ খালি পড়ে আছে। মূলত রাজ্য সরকারের আপত্তিতেই ওই সব পদে নিয়োগ হচ্ছে না বলে অভিযোগ।

গত ডিসেম্বরে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিজ্ঞানী নিয়োগের জন্য মৌখিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের কৃষি দফতরের আপত্তিতে তা অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দেওয়া হয়। কবে ওই সব পদে নিয়োগ শুরু হবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল অন্ধকারে।

ওই সব কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রে বিজ্ঞানীদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার যাবতীয় আর্থিক দায়ভার বহন করে কেন্দ্রীয় সরকার। তারাও চায়, শূন্য পদগুলিতে দ্রুত লোক নিয়োগ করা হোক। কেন্দ্রের কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের অধীন ‘কৃষিজাত প্রযুক্তি প্রয়োগ প্রতিষ্ঠান’ (আটারি) এই বিষয়ে বিধানচন্দ্র কৃষি বারবার চিঠিও লিখছে ওই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্যকে। কিন্তু রাজ্যের অনুমোদন না-পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষ নিয়োগের ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না বলেই শিক্ষা সূত্রের খবর। বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে হাওড়া, হুগলি ও নদিয়ায় তিনটি এবং সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে একটি নতুন কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। সব ক’টি কেন্দ্র মিলিয়ে প্রায় ২৮টি পদ শূন্য। কেন্দ্রই যখন যাবতীয় আর্থিক দায় বহন করে, তা হলে নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের আপত্তি কেন? রাজ্যের কৃষি দফতরের এক কর্তার বক্তব্য, শূন্য পদ পূরণে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে দফতরের কাছে বেশ কিছু অভিযোগ এসেছিল। তার পরেই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেওয়া হয়। কেন্দ্র আর্থিক দায়ভার বহন করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে কোনও অনিয়মের অভিযোগ উঠলে দফতরের হস্তক্ষেপ করার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে বলেই ওই কর্তার দাবি। এ ক্ষেত্রে কী ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, সেই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি কৃষি দফতরের ওই কর্তা।

২০২২ সালের মধ্যে কৃষি ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের কৃষকদের মাথাপিছু আয় দ্বিগুণ করতে চায় কেন্দ্র। আর সেই কাজে কৃষিবিজ্ঞান কেন্দ্রগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলে মনে করছে তারা। তাই সব পদে দ্রুত নিয়োগ সেরে ফেলতে বিধানচন্দ্র ও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে সমানে চাপ দিয়ে চলেছে ‘আটারি’। কিন্তু গোটা ব্যবস্থাটিই অদ্ভুত জটিলতায় থমকে আছে বলে গবেষকদের একাংশের অভিযোগ। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল কিন্তু তাঁরা কুলুপ এঁটেছেন। রাজ্যের কৃষি দফতরের বক্তব্য, শীঘ্রই এই বিষয়ে তাদের সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়-কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE