যক্ষ্মামুক্তি অভিযানে স্বীকৃতি পেল পশ্চিমবঙ্গের তিনটি জেলা। ছবি: রয়টার্স।
যক্ষ্মামুক্তি অভিযানে স্বীকৃতি পেল রাজ্য। রাজ্যের তিন জেলা স্বর্ণপদক পেয়েছে— হাওড়া, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং। ওই তিন জেলাতেই যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমেছে। তারই স্বীকৃতি পেল রাজ্য। শুধু সোনা নয়, রুপো এবং ব্রোঞ্জের পদক পেয়েছে রাজ্যের আরও চার জেলা।সম্প্রতি বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে বারাণসীতে বিশেষ অনুষ্ঠানে বাংলার সাত জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকদের পুরস্কৃত করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। স্বর্ণপদক পেয়েছে— হাওড়া, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং। রুপোর পদক পেয়েছে কোচবিহার। ওই জেলায় যক্ষ্ণারোগীর সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমেছে। অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং উত্তর দিনাজপুর পেয়েছে ব্রোঞ্জের পদক। ওই তিন জেলায় যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা কমেছে ২০ শতাংশ। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর টুইট করে এই খবর জানিয়েছে। সেই টুইটে বলা হয়েছে, ‘‘ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে বারাণসীতে আয়োজিত ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড’ টিবি সামিটে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলাকে ৬০ শতাংশ যক্ষ্মামুক্ত জেলা হিসেবে জাতীয় স্বর্ণ পুরস্কারে সম্মানিত করা হল।’’
এ প্রসঙ্গে হাওড়ার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানান, কেন্দ্রীয় সরকার আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাকে যক্ষ্মামুক্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘২০১৫ সালের নিরিখে হাওড়া জেলায় আমরা যক্ষ্মারোগীর সংখ্যা ৬০ শতাংশ কমাতে পেরেছি। কেন্দ্রীয় সরকারের একটা মাণদণ্ড আছে। সুস্থতার হার ৬০ শতাংশ হলে স্বর্ণপদক, ৪০ শতাংশ হলে রৌপ্যপদক এবং ২০ শতাংশ হলে ব্রোঞ্জপদক দেওয়া হয়। আমাদের রাজ্য যক্ষ্মামুক্তি অভিযানে আর এক ধাপ এগিয়ে গেল।’’
রাজ্যের এক স্বাস্থ্য কর্তা জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে যক্ষ্মামুক্ত বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এই সাফল্য অন্য সব জেলাকেও অনুপ্রাণিত করবে। সুস্থতার হার ৮০ শতাংশ হলে সেই জেলাকে যক্ষ্মামুক্ত তকমা দেওয়া হয়। আগামী বছরের মধ্যে সেটিও পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যের, এমনটাই মত ওই স্বাস্থ্যকর্তার।
জেলাশাসক মুক্তা আর্য বলেন, ‘‘গত কয়েক বছর ধরে হাওড়াকে যক্ষ্মামুক্ত করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের একটা বিশেষ টিম কাজ করছিল। তারা আগামিদিনেও কাজ করবে। আমাদের জেলা খুব শীঘ্রই যক্ষ্মামুক্ত হবে বলে আমরা আশাবাদী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy