Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
State News

মোর্চার বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রায় ‘হাইজ্যাক’ তৃণমূলের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেট বৈঠকের প্রতিবাদে সকাল থেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কালো পতাকা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলও করার কথা ছিল গুরুঙ্গদের। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল মোর্চার বেশির ভাগ কর্মসূচিই প্রায় হাইজ্যাক করে নিল তৃণমূল।

বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই পাহাড়ে পৌঁছে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। রয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া রোশন গিরির বোন পারু গিরিও।

বৈঠকে যোগ দিতে ইতিমধ্যেই পাহাড়ে পৌঁছে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। রয়েছেন সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া রোশন গিরির বোন পারু গিরিও।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৭ ১২:৩৫
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রীর সাধের ক্যাবিনেট বৈঠক শুরু হওয়ার কথা দুপুর ২টো থেকে। কিন্তু তার আগেই কার্যত অচল হয়ে গেল গোটা দার্জিলিং। সকাল থেকেই দার্জিলিং দখলে রাখতে রাস্তায় নেমে পড়লেন তৃণমূল ও মোর্চার সদস্যরা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেট বৈঠকের প্রতিবাদে সকাল থেকেই বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। কালো পতাকা নিয়ে প্রতিবাদ মিছিলও করার কথা ছিল গুরুঙ্গদের। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল মোর্চার বেশির ভাগ কর্মসূচিই প্রায় হাইজ্যাক করে নিল তৃণমূল। এ দিন সকাল থেকেই দার্জিলিংয়ের রাস্তায় তৃণমূলের পতাকা নিয়ে নেমে পড়েন তৃণমূলের বিপুল সংখ্যক কর্মী সমর্থক। ‘পরিবর্তন চাই’ স্লোগান দিয়ে রাজভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন তাঁরা। মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার সকালেই পাহাড়ে পৌঁছে গিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা।

আরও পড়ুন: দার্জিলিঙে আজ মমতার মন্ত্রিসভার বৈঠক, অবস্থান বিক্ষোভের হুমকি গুরুঙ্গের

গতকালই মোর্চার তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল বেলা ১২টা থেকে ২টো পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হবে। সেই মতো সকাল থেকেই পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েক হাজার মোর্চা সমর্থক দার্জিলিংয়ে জড়ো হতে শুরু করেন। এরপর দার্জিলিং স্টেশন, বাতাসিয়া লুপ এবং রাজভবনের কাছে ভানুভবনের সামনে শুরু হয় মোর্চার বিক্ষোভ কর্মসূচি। তবে বিপুল সংখ্যক তৃণমূল কর্মীর ‘চাপে’ প্রতিবাদ মিছিল করা সম্ভব হয়নি মোর্চার।

দেখুন ভিডিও

পুরভোটে পাহাড়ে প্রথম খাতা খুলেই পাহাড়ের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাহাড়কে রাজ্যসভার সাংসদ দিয়েছেন তিনি। অভিনব চালে পাহাড়বাসীকে কাছে টানার চেষ্টাও করছেন। দার্জিলিং চষে ফেলার পর পাহাড় যে রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সেই বার্তা দিতে প্রায় গোটা মন্ত্রিসভাই তুলে নিয়ে আসছেন মমতা। নজিরবিহীন ভাবে এই প্রথম পাহাড়ের মাটিতে বসেই সারা রাজ্যের সমস্যা ও উন্নয়ন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবে মন্ত্রিসভা। প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ এক কর্তার মতে, এই বৈঠকের গুরুত্ব অপরিসীম। ওই কর্তা জানান, এ বার থেকে বছরে দু’টো করে মন্ত্রিসভার বৈঠক হবে পাহাড়ে।

অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়েই কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না মোর্চা নেতারাও। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, ৪০-৪২ জন মন্ত্রী ও সমসংখ্যক আমলাকে পর্যটনের ভরা মরসুমে পাহাড়ে আনতে যে বিপুল খরচ, তার যৌক্তিকতা কী? মোর্চার মতে, এক মন্ত্রিসভার বৈঠক করতেই কোটি টাকার ওপরে খরচ করা অর্থহীন।

(নিজস্ব চিত্র)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE