নাগরিকত্ব নিয়ে আবার বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি পিটিআই।
অমিত শাহের নিজের রাজ্যের দুই জেলায় কিছু মানুষকে নাগরিকত্ব দিতে চলেছে তাঁর আয়ত্তাধীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। গুজরাতের জন্য নেওয়া ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে এ বার মুখ খুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, সামনে ভোট বলেই এ সব করা হচ্ছে গুজরাতে। বাংলায় এ সব তিনি করতে দেবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যের অস্থায়ী রাজ্যপাল লা গণেশনের পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা হন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে নাগরিকত্ব নিয়ে আবার বার্তা দিলেন মমতা।
গুজরাতের আনন্দ এবং মেহসানা জেলায় বাংলাদেশ, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি এবং খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী যাঁরা বসবাস করেন, তাঁদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায় তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ভোটমুখী গুজরাতে এই ঘোষণার পর উল্লসিত এ রাজ্যের বিজেপি শিবির। তারই প্রেক্ষিতে বুধবার মমতা বলেন, ‘‘এই সব রাজনীতি বন্ধ করো। গুজরাতে ভোট আসছে বলে এই সব করছে। আমরা তো এগুলো করতে দেব না। আমরা সকলেই নাগরিক। এটাই আমার থিয়োরি (তত্ত্ব)।’’
প্রসঙ্গত, গুজরাতের ওই দুই জেলায় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের আওতায়। এ ক্ষেত্রে ২০১৯-এর সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) প্রয়োগ করা হবে না। তার কারণ, সিএএ তৈরি করা হলেও সেই আইন প্রণয়ন (রুল ফ্রেমিং) হয়নি এখনও। ফলে সিএএতে নাগরিকত্ব দেওয়া শুরু হয়নি এখনও। যদিও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, ‘‘এটা তো হওয়ারই ছিল। গুজরাতে হয়েছে। এ বার তা পশ্চিমবঙ্গেও কার্যকর করা হবে।’’
গুজরাতের নাগরিকত্ব-ঘোষণাকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ময়দানে নামার তোড়জোড় শুরু করেছে রাজ্য বিজেপি। মতুয়া অধ্যুষিত নদিয়ার হরিণঘাটা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক অসীম সরকারও প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘পুরনো আইনেই যদি নাগরিকত্ব দেওয়া হয় তা হলে সিএএ-র জন্য এত আন্দোলন করা হল কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy