অভাবের সঙ্গে যুঝেই এগোচ্ছেন বিশ্বজিৎ। বাবা জয়কৃষ্ণ শ্যামল মেলায় রকমারি মাছ দেখিয়ে রোজগার করতেন। পরে সৈকতে খেলনা ফেরি করতেন তিনি। একটা সময় বিশ্বজিৎও খেলনা বিক্রি করেছেন। পরে বিশ্বজিৎ বালু ভাস্কর্যের কাজ শিখে সংসারের হাল ধরেন। এখন তালসারিতে তাঁর শিল্পকর্ম দেখতে ১০ টাকার টিকিট কাটতে হয়। সেই রোজগারেই চলে সংসার। বিশ্বজিৎ জানালেন, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় এক শিক্ষক তাঁকে বালুশিল্পে উৎসাহিত করেছিলেন। পরে অনুশীলনেই এই কাজ রপ্ত করেছেন তিনি।
শুধু তালসারি নয়, বিশ্বজিতের বালুশিল্পের কথা ছড়িয়ে পড়েছে দিঘা, শঙ্করপুর ও মন্দারমণির পর্যটকদের কাছেও। অনেকে তালসারিতে আসছেন তাঁর হাতের কাজ দেখতে। বেহালা থেকে আসা পর্যটক সন্দীপ সরকার বলছিলেন, “দিঘায় এসে এই বালি ভাস্কর্যের কথা শুনেছিলাম। এখানে না এলে সত্যি এমন সুন্দর জিনিস দেখা থেকে বঞ্চিত হতাম।’’
বালুশিল্পী বিশ্বজিৎ চান দিঘায় তাঁর সৃজনকর্ম নিয়ে আসতে। শিল্পীর কথায়, “দিঘার বহু পর্যটক এত দূরে আমার হাতের কাজ দেখতে আসেন। দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি দিঘার সমুদ্র সৈকতে আমাকে জায়গা দেয়, তাহলে সেখানে স্থায়ী বালির ভাস্কর্যের শিবির করতে চাই। এতে পর্যটকরাও খুশি হবেন।’’ এ ব্যাপারে দিঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এমন প্রস্তাব বা আবেদন আমাদের কাছে আসেনি। এলে বিবেচনা করা হবে।’’