Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
State News

লালবাজার অভিযান ঘিরে আজ যে সব রাস্তায় যানজটের সম্ভাবনা

বিজেপির আজ লালবাজার অভিযান দুপুরে। লালবাজার ঢোকার মূল চারটি বড় রাস্তাই সকাল থেকে পুলিশি চক্রব্যূহে। টি-বোর্ড, বি বি গাঙ্গুলি-ফিয়ার্স লেন সংযোগস্থল, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট-ওয়াটারলু স্ট্রিটের সংযোগস্থল এবং গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ এর দিক থেকে কোনও মিছিলই এগোতে দেওয়া হবে না।

যানজটে হাসফাঁস শহর।—ফাইল চিত্র

যানজটে হাসফাঁস শহর।—ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ১২:১৫
Share: Save:

বিজেপির আজ লালবাজার অভিযান দুপুরে। লালবাজার ঢোকার মূল চারটি বড় রাস্তাই সকাল থেকে পুলিশি চক্রব্যূহে। টি-বোর্ড, বি বি গাঙ্গুলি-ফিয়ার্স লেন সংযোগস্থল, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট-ওয়াটারলু স্ট্রিটের সংযোগস্থল এবং গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউ এর দিক থেকে কোনও মিছিলই এগোতে দেওয়া হবে না। বড় অ্যালুমিনিয়ামের ব্যারিকেড, জল কামান, গ্যাস এবং লাঠিধারী প্রায় ৩০০০ পুলিশ রাস্তায়। লালবাজার ঢোকার ১৯টি গলিতেও শালবল্লার বেড়া দেওয়া হয়েছে।

বড় তিনচে মিছিল আসবে কলেজ স্কোয়্যার, হাওড়া, ধর্মতলার দিক থেকে। এ ছাড়াও নানা দিক থেকে আসবে ছোট ছোট মিছিল। শিয়ালদহ স্টেশন থেকেও প্রচুর বিজেপি কর্মী মিছিল করে আসবেন। ফলে এজেসি বোস রোড, মহাত্মা গান্ধী রোড, গণেশ অ্যাভেনিউ, কলেজ স্ট্রিট, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের মতো রাস্তাগুলোয় যানজটের সম্ভাবনা যথেষ্ট। সোমবার বামেদের নবান্ন অভিযানের মতো কোনও অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হলে আরও অনেক রাস্তা যানজটের কবলে পড়তে পারে।

গত সোমবার বামেদের নবান্ন অভিযানে পুলিশের অতি সক্রিয়তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। মহিলা-বয়স্কদের উপরও নির্বিচারে লাঠি, কাঁদানে গ্যাস প্রয়োগ করেছিল কলকাতা পুলিশ। বাদ যাননি সাংবাদিকেরাও।

আরও পড়ুন: একটু পরেই বিজেপি-র অভিযান, লালবাজার ঘিরে পুলিশি ব্যূহ, লাইভ...

যে পথে এগোবে মিছিল

অভিযানের নিশানা যে হেতু তাদেরই সদর, বিজেপিকে ঠেকানোর দায় কলকাতা পুলিশের অনেক বেশি। বামেদের অভিযানের দিন ব্যারিকেডের বাধা টপকেও বিধায়করা নবান্নের দরজায় পৌঁছে গিয়েছিলেন। তা নিয়ে পুলিশের মুখও পুড়েছে। আজ, যাতে কোনও ভাবেই বিজেপি কর্মীরা ধারে কাছে ঘেঁষতে না পারেন, সে জন্য লালবাজারকে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হচ্ছে।

বিজেপি অবশ্য লালবাজার পৌঁছতে বদ্ধপরিকর। হাওড়া থেকে দিলীপ ঘোষ, ধর্মতলা থেকে রাহুল সিংহ এবং কলেজ স্কোয়্যার থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় তিনটি বড় মিছিল নিয়ে লালবাজারের দিকে হাঁটা শুরু করবেন। কিন্তু এর বাইরেও অজস্র ছোট ছোট মিছিল নিয়ে বিভিন্ন স্তরের নেতারা লালবাজার যাবেন।

ড্রোনের সাহায্যেও চলবে নজরদারি।—নিজস্ব চিত্র

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘মিছিল শান্তিপূর্ণ হবে কি না, তা নির্ভর করবে পুলিশের উপর। ভিড় সামলানোর যোগ্যতা যদি পুলিশের না থাকে, তা হলে যা হবে তার দায় পুলিশকেই নিতে হবে।’’ তা হলে কি মারমুখী হবে বিজেপি কর্মীরা? দিলীপবাবুর বক্তব্য, ‘‘হিংসাত্মক জঙ্গি আন্দোলন সিপিএমের ঐতিহ্য। আমাদের মিছিল হবে শান্তিপূর্ণ।’’ তবে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, ‘‘পুলিশ মারলে আমরা মালা ছুঁড়ব না।’’

পুলিশও অবশ্য তৈরি হয়েই থাকবে। বুধবার লালবাজারে পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার সতর্ক করে দিয়েছেন অফিসারদের। তাঁর বার্তা হল, বৃহস্পতিবার বিজেপির আন্দোলনে যাতে বামেদের নবান্ন অভিযানের পুনরাবৃত্তি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। তবে কোনও অবস্থাতেই বিক্ষোভকারীদের গুণ্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। পেশার তাগিদে পথে নামা সাংবাদিকদেরও সোমবার পুলিশ মেরেছিল। কমিশনার বলেছেন, পুলিশ ও সাংবাদিক দু’পক্ষই পেশার তাগিদে রাস্তায় নামে। একের জন্য অন্যকে যেন সমস্যায় পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE