ভালবেসে বিয়ে করেছেন ভিন্ ধর্মের দু’টি ছেলেমেয়ে। কিন্তু অভিযোগ, রিজ়ওয়ানুর রহমান ও প্রিয়ঙ্কা তোদীর বিয়ের পরিণতির কথা মনে করিয়ে তাঁদের ‘গুজরাত বা কাশী-বাসী হওয়া’র পরামর্শ দিয়েছে পুলিশই! ঘটনাটি হুগলির জাঙ্গিপাড়া থানা এলাকার। অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
প্রাপ্তবয়স্কদের বিয়েতে খাপ পঞ্চায়েতের দাদাগিরি গত মার্চেই নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তা সত্ত্বেও গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে হচ্ছে সদ্য-বিবাহিত সাবরিনা খাতুন এবং কৌশিক দাসকে। বৃহস্পতিবার কয়েক জন শুভানুধ্যায়ীর মাধ্যমে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজার সঙ্গে দেখা করেন তাঁরা। জানান, সাবরিনার বাবা-দাদা বিয়ে মেনে না-নিয়ে হুমকি দিচ্ছিলেন। তাই তাঁরা পুলিশে যান। কিন্তু পুলিশ কী করেছে?
মন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে সাবরিনার অভিযোগ, আঁটপুরের পঞ্চায়েত প্রধান প্রণব দাসের উপস্থিতিতেই ওসি অমলেন্দু বিশ্বাস দু’জনকে পরিচয় লুকিয়ে গুজরাত, গয়া বা কাশী চলে যেতে বলেন। যে অভিযোগ উড়িয়ে ওসি বলেছেন, ‘‘কোর্ট না-বললে বাড়ি বয়ে তো পাহারা দিতে পারি না। সেটাই বলেছি।’’ কিন্তু সাবরিনার দাবি, ‘‘পুলিশ শুধু নিজেদের সামনে টাকার টোপ আর নেতাদের চাপের কথা শোনাচ্ছে। বলেছে, নবান্নে যান! সামলাতে পারব না।’’