Advertisement
৩১ মার্চ ২০২৩
Bidyut Chakraborty

বিশ্বভারতীর আশ্রমিক ও প্রাক্তনীদের দায়িত্ব মনে করালেন বিদ্যুৎ, পাল্টা কটাক্ষ আশ্রমিকদেরও

উপাচার্য বিদ্যুতের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী এবং আশ্রমিকেরা কেবল ‘ভোগ’ করে যেতে চান। দায়িত্বপালনে আগ্রহ নেই। আশ্রমিকদের পাল্টা দাবি, একটি চিঠিরও জবাব পাওয়া যায়নি।

শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকদের কটাক্ষ উপাচার্য বিদ্যুতের।

শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকদের কটাক্ষ উপাচার্য বিদ্যুতের। — ফাইল ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বোলপুর শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:১৭
Share: Save:

এ বার সরাসরি আশ্রমিক এবং বিশ্বভারতীর প্রাক্তনীদের একটি অংশকে একহাত নিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বুধবারের বিশেষ উপাসনায় বসে তাঁর অভিযোগ, আশ্রমিক, প্রাক্তনী এবং রাবীন্দ্রিকেরা বিশ্বভারতীকে ভোগ করতে চান। কোনও দায়িত্ব পালনে তাঁদের উৎসাহ নেই।

Advertisement

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে জমি নিয়ে বিবাদ এবং কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা এখনও আলোচনায়। সেই ঘটনার রেশ মিটতে না মিটতেই আবার বিতর্কে উপাচার্য বিদ্যুৎ। বুধবারের প্রার্থনায় যোগ দিয়ে ঐতিহ্যবাহী প্রার্থনা মন্দিরে বসে বিদ্যুৎ নিশানা করলেন কতিপয় আশ্রমিক, প্রাক্তনী এবং রাবীন্দ্রিককে। তাঁর অভিযোগ, আশ্রমিক, প্রাক্তনী এবং রাবীন্দ্রিকেরা কেবল বিশ্বভারতীকে ভোগ করতেই অভ্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপকার হয় এমন কোনও কাজে তাঁদের অনীহা। উপাচার্যের দাবি, তিনি শুনেছিলেন, শান্তিনিকেতনের আশ্রমিকরা বিশ্বভারতীর বিভিন্ন কাজে মূল্যবান মতামত দিয়ে থাকেন। কিন্তু ২০১৮-য় বিশ্বভারতীতে যোগ দেওয়া ইস্তক কাউকে এ কাজে এগিয়ে আসতে দেখেছেন, এমন অভিজ্ঞতা তাঁর এত দিনে হয়নি। বিদ্যুৎ বলেন, ‘‘ওঁরা শুধুমাত্র অধিকার ভোগ করতেন। কিন্তু অধিকার থেকে যে দায়িত্ব তৈরি হয় সেটা যে কোনও কারণে তাঁরা ভুলে গিয়েছিলেন। আমি যে দায়িত্বের কথা তাঁদের মনে করিয়ে দিয়েছিলাম তার পর তাঁরা আর আসেননি।’’ উপাচার্যের অভিযোগ, আশ্রমিক ও প্রাক্তনীরা বিশ্বভারতীকে ভোগ করার জায়গা হিসাবে দেখেন।

উপাচার্যের এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়া এসেছে আশ্রমিকদের কাছ থেকে। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুর বলেন, ‘‘আমি ওঁর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া দেওয়ার কোনও কারণ দেখি না। সবাইকে খারাপ বলেন, উনি একাই ভাল। কী আর করা যাবে! উনি যা খুশি তাই করে যাচ্ছেন। অমর্ত্য সেনের মতো মানুষের নামে যা খুশি তাই বলছেন। সুতরাং, ওঁকে নিয়ে আমার মাথা ঘামানোর কারণ নেই। উনি এটাই করে যাবেন। এটাই স্বভাব।’’ আর এক প্রবীণ আশ্রমিক অপর্ণা দাস মহাপাত্র বলেন, ‘‘আজ থেকে তিন-চার বছর আগে ওঁর যখন ছাত্রদের নিয়ে কিছু সমস্যা হয় তখন আমরা আশ্রমিকরা চিঠি দিয়েছিলাম, আলোচনার মাধ্যমে সাহায্য করার ইচ্ছাপ্রকাশ করে। কিন্তু সেই চিঠির আজ পর্যন্ত কোনও রকম উত্তর নেই। কোনও দিন আলোচনা করতে আমাদের ডাকেননি। ওঁর সমস্যা ক্রমশ বেড়েই যাচ্ছে সমাধানের কোনও উপায় নেই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.