—ফাইল চিত্র।
অযোধ্যার উত্তাপ এ বার পশ্চিমবঙ্গেও ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)। ডিসেম্বর জুড়ে রাজ্য বিজেপি যখন রথযাত্রা করবে, তখন অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দাবিতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে ১২টিরও বেশি ধর্মসভার আয়োজন করছে ভিএইচপি। যার কড়া সমালোচনা করেছে তৃণমূল ও সিপিএম।
কয়েক মাস ধরেই অযোধ্যা মামলা ঘিরে উত্তপ্ত জাতীয় রাজনীতি। এ বার সরাসরি অযোধ্যায় গিয়ে ধর্মসভা করে ‘হাওয়া গরম’ করার চেষ্টা শুরু করেছে ভিএইচপি। যাতে যোগ দিয়েছে শিব সেনাও।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্য রাজনীতিতেও ‘অযোধ্যা হাওয়া’ ছড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। ভিএইচপি-র পূর্ব ক্ষেত্রের সংগঠন সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিংহের দাবি, ‘‘রাম মন্দির নিয়ে বহু দিন অপেক্ষা করেছি। হিন্দু সমাজকে একত্রিত করে আন্দোলনে নেমেছি আমরা। সে কারণেই ডিসেম্বর জুড়ে রাজ্যে ধর্মসভার আয়োজন।’’ তিনি জানান, ধর্মসভাগুলিতে রাম মন্দিরের নামে যজ্ঞ হবে। পাশাপাশি এ রাজ্যে ‘সংখ্যালঘু তোষণ’ এবং ‘অনুপ্রবেশ’-এর বিরুদ্ধেও সরব হবেন তাঁরা। রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘রাম মন্দিরের দাবি অনেক দিনের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ আন্দোলন করছে। আমাদেরও সমর্থন আছে।’’
রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বিজেপির রথযাত্রার সময়ে বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় মেরুকরণের জন্যই এ ধরনের ধর্মসভার আয়োজন। যা থেকে অশান্তি ছড়ানোরও চেষ্টা হতে পারে। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের মন্তব্য, ‘‘দেশ জুড়ে উন্নয়নে ব্যর্থ বিজেপি। তাই শাখা সংগঠনগুলির সাহায্যে ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরি করে লোকসভা ভোটে জেতার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু রাজ্যবাসী ফাঁদে পা দেবেন না। আর প্রশাসনও নিজের কাজ করবে। উত্তাপ ছড়াতে দেবে না।’’
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীরও দাবি, ‘‘মোদীর ব্র্যান্ড ফুটো হয়ে গিয়েছে। তাই রাম মন্দিরকে ব্যবহার করে ফের প্রাসঙ্গিক হওয়ার চেষ্টা করছে বিজেপি। কিন্তু এ রাজ্যের মানুষ সাম্প্রদায়িক উস্কানিতে পা দেবেন না। রাজ্য সরকার নয়, মানুষই তাদের রুখে দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy