Advertisement
E-Paper

বর্ষাতেও রাস্তা খারাপ, সচিবের কড়া নির্দেশিকা

বর্ষা এসে গেলেও রাজ্যের বহু রাস্তারই মেরামত হয়নি। তাই রাস্তার ‘স্বাস্থ্য’ ফেরাতে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দু’দু’টো নির্দেশিকা জারি করতে হল পূর্ত দফতরকে। এ দফার নির্দেশ পালন না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পূর্তসচিব অর্ণব রায়।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

মুখ্যসচিবের নির্দেশই সার! বর্ষা এসে গেলেও রাজ্যের বহু রাস্তারই মেরামত হয়নি। তাই রাস্তার ‘স্বাস্থ্য’ ফেরাতে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে দু’দু’টো নির্দেশিকা জারি করতে হল পূর্ত দফতরকে। এ দফার নির্দেশ পালন না হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন পূর্তসচিব অর্ণব রায়।

বর্ষার আগে প্রতি বছর রাস্তা মেরামতি করে পূর্ত দফতর। বর্ষার আগে পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা রাস্তার গর্ত বুজিয়ে ভাল অবস্থায় ফেরানোর ব্যাপারে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যসচিব। তার পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ জুন পূর্ত দফতরের সব ডিভিশনকে রাস্তা মেরামতির জন্য দশ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন পূর্তসচিব। ১৫ দিনের মধ্যে ত্রুটিমুক্ত রাস্তার রিপোর্ট জমা দিতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেও বহু রাস্তা সারাই হয়নি বলে খবর।

শুক্রবার দ্বিতীয় দফার নির্দেশিকায় পূর্তসচিব উল্লেখ করেছেন, বিভিন্ন সূত্র মারফত পূর্ত দফতরের কাছে বেহাল রাস্তা নিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছে। বর্ষার সময়ে এই ধরনের অভিযোগ ‘অনভিপ্রেত’। সচিবের নির্দেশে তাই সমস্ত এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে তাঁদের অধীনে থাকা রাস্তাগুলি ‘গর্তমুক্ত’ করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। আর তার পরেও বেহাল রাস্তা থাকলে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যা দেখে দফতরের একাংশ বলছেন, বেহাল রাস্তা পুরোপুরি সারাইয়ের বদলে আপাতত জোড়াতাপ্পি দিয়ে মসৃণ করাই লক্ষ্য।

পথের কথা

পূর্ত দফতরের দায়িত্বে থাকা রাস্তার পরিসংখ্যান—

• ১৬৮৭ কিলোমিটার জাতীয় সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ পূর্ত দফতরের দায়িত্বে

• দফতরের অধীনে ৩৬১২ কিলোমিটার রাজ্য সড়ক রয়েছে

• প্রধান এবং সাধারণ জেলা সড়ক মিলিয়ে ১০,৪৫০ কিলোমিটার রাস্তার দায়িত্ব দফতরের

• ১৪২৮ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়কের দায়িত্ব সামলায় পূর্ত দফতর

• বিভিন্ন জেলাপরিষদ এবং পুরসভার ৩১০০ কিলোমিটার রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ করে দফতর

নির্দেশে এ-ও বলা হয়েছে, এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারেরা রাস্তা পরিদর্শন করবেন। সারাইয়ের কাজে নজরদারি করে প্রতি সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট চিফ ইঞ্জিনিয়ারের কাছে রিপোর্টও পাঠাতে হবে সুপারিন্টেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ারদের।

তবে এই নির্দেশ কতটা কার্যকরী করা সম্ভব, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে দফতরের অন্দরেই। ইঞ্জিনিয়ারদের একাংশ বলছেন, বৃষ্টি শুরু হয়ে গেলে মেরামতির কাজ করা যায় না। তাই প্রাক-বর্ষাতেই এই কাজ সেরে ফেলতে হয়। এখন তো দক্ষিণবঙ্গে পুরোদমে বর্ষা এসেছে। প্রায়শই ঝেঁপে বৃষ্টি নামছে। ‘‘এর মধ্যে সারাইয়ের কাজ করতে গেলে পুরোটাই পণ্ডশ্রম হবে না তো?’’ মন্তব্য এক পদস্থ ইঞ্জিনিয়ারের।

Monsoon Weather Rain
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy