Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

আসানসোলে বিজেপিকে যেতে দেবে না নবান্ন

যদিও তৃণমূলেরই একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্য সরকার এবং শাসক দল মনে করে, আসানসোল-রানিগঞ্জের জটিল হয়ে ওঠা পরিস্থিতিতে মেরুকরণ আরও বাড়াতেই সেখানে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে বিজেপি। তাই তাদের গোড়াতেই আটকানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩৬
Share: Save:

গোষ্ঠী-সংঘর্ষে বিধ্বস্ত আসানসোল-রানিগঞ্জে বিজেপির চার সদস্যের প্রতিনিধি দলের যাওয়ার কথা আজ, রবিবার। কিন্তু রাজ্য সরকার ওই চার জনকে সেখানে যেতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নবান্নের যুক্তি, শনিবার রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। সে ক্ষেত্রে কাউকে আলাদা করে নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না। তাই বিজেপির প্রতিনিধিদের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। নবান্নের এক কর্তা জানান, শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ-প্রশাসন যা ঠিক মনে করবে, তা-ই করবে।

যদিও তৃণমূলেরই একাংশের ব্যাখ্যা, রাজ্য সরকার এবং শাসক দল মনে করে, আসানসোল-রানিগঞ্জের জটিল হয়ে ওঠা পরিস্থিতিতে মেরুকরণ আরও বাড়াতেই সেখানে প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে বিজেপি। তাই তাদের গোড়াতেই আটকানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আজ আসানসোল যাওয়ার কথা বিজেপি সাংসদ ওম মাথুর, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, বি ডি রাম এবং দলের মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেনের। বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমাদের প্রতিনিধি দলের যে এলাকায় যাওয়ার কথা, সেটা পুর-এলাকা। সেখানে পঞ্চায়েতের নির্বাচনী আচরণবিধি প্রযোজ্যই
নয়। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার আটকাতে পারে।’’

শুধু বিজেপিকে নয়, এ দিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীকে আসানসোল-রানিগঞ্জের অশান্ত এলাকায় যেতে বাধা দেওয়া হয়। দুপুরে আসানসোলের কাল্লায় পৌঁছন অধীর। সেখান থেকে কিলোমিটার দুয়েক দূরে রেলপাড় এলাকা। কিন্তু পুলিশ অধীরের গাড়ি আটকে জানায়, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ক্ষুব্ধ অধীর বলেন, ‘‘আমি এলাকায় গিয়ে মানুষের কথা শুনতে চেয়েছিলাম। পুলিশ অন্যায় ভাবে আটকাল। এত ভয় কীসের!’’

বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ সুজন আসানসোলের কালিপাহাড়িতে পৌঁছলে পুলিশ তাঁর গাড়িও আটকায়। তবে সুজন সিপিএম দফতরে যাবেন জানানোয় তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আপকার গার্ডেন পার্টি অফিস থেকে হেঁটে রেলপাড়ের দিকে রওনা দেন সুজন। কিন্তু রাস্তায় পুলিশ তাঁকে আটকায়। পরে কল্যাণপুরে সিপিএমের পার্টি অফিস ঘুরে তিনি ফিরে যান।

কলকাতা প্রেস ক্লাবে একটি বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানের ফাঁকে আসানসোল-রানিগঞ্জের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ত্রিপুরার রাজ্যপাল তথাগত রায় বলেন, ‘‘এ নিয়ে প্রশ্নের জবাব কি রাজ্যপালের দেওয়া উচিত? যদি দেওয়া হয়, তা হলে কাল তো টুইটারে লেখা হবে সাম্প্রদায়িক রাজ্যপাল, অনধিকার চর্চা করছেন রাজ্যপাল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE