পরিবর্তন প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু পরিবর্তিত মুখ কী হবে? এই প্রশ্নেই এখন বিতর্ক চলছে বঙ্গ সিপিএমে।
বড়সড় কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে সিপিএমের রাজ্য সম্মেলনে দলের রাজ্য সম্পাদক পদে বদল এক রকম অবধারিত। দলের অন্দরের চর্চায় পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক পদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে মহম্মদ সেলিম ও শ্রীদীপ ভট্টাচার্যের নাম।
পরপর কয়েকটি নির্বাচনে দলের বিপর্যয়ের প্রেক্ষিতে রাজ্য সম্পাদক পদ ছেড়ে দিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দিতে আগ্রহী সূর্যকান্ত মিশ্র। দলের অন্দরে তাঁর ওই মনোভাব কয়েক বছর ধরেই স্পষ্ট। এ বার তার সঙ্গে সংযোজন হতে চলেছে সিপিএমের বয়স-নীতি। যা মেনে নিয়ে সূর্যবাবুর পক্ষে অব্যাহতি নেওয়া সাংগঠনিক ভাবেও এখন ‘নিয়মমাফিক’ পদক্ষেপ হতে চলেছে। বিধানসভা ভোটে নজিরবিহীন বিপর্যয়ের পরে মনোবল ভেঙে যাওয়া দল তথা সংগঠনের হাল কে ধরবেন, তা নিয়েই এখন ভাবতে হচ্ছে সিপিএমকে।
সিপিএমের সাংগঠনিক রেওয়াজ অনুযায়ী, বাংলার মতো বড় রাজ্যে সম্পাদক পদে এমন কাউকে আনা হয়, যিনি পলিটবুরোয় আছেন বা কেন্দ্রীয় কমিটির ‘সিনিয়র’ সদস্য। দলের একাংশের মতে, এই নিরিখে দেখলে সূর্যবাবুর জায়গায় সেলিমের রাজ্য সম্পাদক পদে আসা সিপিএমে সাংগঠনিক ভাবে সব চেয়ে ‘স্বাভাবিক’ প্রক্রিয়া হতে পারে। তিনি একাধারে পলিটবুরোর সদস্য, অন্য দিকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং লোকসভা ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ। যুব সংগঠন থেকেই বাম রাজনীতিতে পরিচিত নাম, সুবক্তা হিসেবেও কদর আছে। আরও উল্লেখযোগ্য তথ্য, সেলিম ওই দায়িত্ব পেলে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক পদে তিনিই হবেন প্রথম সংখ্যালঘু মুখ। প্রসঙ্গত, দলের প্রতিষ্ঠাতা-নেতা হিসেবে আলাদা সম্মান এবং আনুষ্ঠানিক ভাবে জন্মদিন পালনের প্রথা থাকলেও মুজফ্ফর আহমেদ (কাকাবাবু) কিন্তু প্রথম ‘নবরত্ন’ পলিটবুরোয় ছিলেন না।