মনোযোগী: রায়গঞ্জে ফোনে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কথা শুনছেন সমর্থকেরা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
রায়গঞ্জে যোগী আদিত্যনাথের সভা বানচাল করতে নানা চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিলই। তবে রায়গঞ্জের মিরুরালে বিএসএফ হেলিপ্যাডে কপ্টার অবতরণের অনুমতি দেওয়ার পরও অনুমতি আটকে যাবে, তা ভাবতে পারেনি বিজেপি নেতারা। রবিবার সকাল থেকে তা নিয়ে টালবাহানার মধ্যে সভার প্রস্তুতি শুরু করে দেন দুই দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। শেষ পর্যন্ত অনুমতি না মেলায় যোগী আসতে না পারলেও আড়াই ঘন্টা ধরে সভায় জেলা স্তরের নেতারা, যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি দেবজিৎ সরকাররা বক্তব্য রাখেন। শেষে মোবাইল ফোনে লাউড স্পিকারের মাধ্যমে যোগীর বক্তব্য শোনানো হয় জনতাকে।
গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, হেলিকপ্টার সমস্যায় তিনি আসতে পারবেন না, বিজেপি নেতৃত্ব অনেক আগেই আঁচ করেছিলেন। তবে জেলা প্রশাসন হেলিকপ্টার নামার অনুমতি দিচ্ছে না বলে শনিবার থেকে বালুরঘাটে নাটক শুরু হয়েছিল বলে অভিযোগ। ওই দিন বেশি রাতে বিজেপির জেলা সভাপতি শুভেন্দু সরকার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান যোগীর হেলিকপ্টার নামার কোনও অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন।
এর প্রতিবাদে এবং হেলিকপ্টার নামার অনুমতির দাবিতে রবিবার সভার দিন সকাল সাড়ে ৮টা থেকে জেলাশাসকের বাংলোর সামনে জনা পঞ্চাশেক বিজেপি নেতাকর্মীর অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে সভার থেকে লোক ডেকে ভিড় বাড়িয়ে বিক্ষোভ চলে। তবে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে নিজে থেকেই আন্দোলন তুলে নেন বিজেপি নেতৃত্ব। এরপর রাস্তায় বিজেপির বিক্ষোভ শেষ হয়। তত ক্ষণে নির্ধারিত রেলস্টেশনের জনসভা মাঠে উপস্থিত কয়েক হাজার জনতার অনেকে জেনে যান যোগী আদিত্যনাথ আসছেন না। শেষে সওয়া ২টো নাগাদ মোবাইল লাউডস্পিকারে দিয়ে মাইক্রোফোনের সামনে ধরে যোগীর বক্তৃতা শোনানো হয়।
তবে বিজেপি নেতারা রায়গঞ্জে জানান, সব বাধা কাটিয়ে যোগী আদিত্যনাথকে তাঁরা আনবেন। তখনও দাড়িভিটের প্রসঙ্গ তুলে যুব মোর্চার সভাপতি নানা ভাবে উপস্থিত জনতাকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করেন।
বালুরঘাটের সভার মাঠের সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন কয়েক জন মহিলা। তাঁদের এক জন বললেন, ‘‘মোবাইলে বক্তৃতা শুনে দুধের স্বাদ মিটল ঘোলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy