বাবুরবাগের বাড়িতে পুলিশ ও এনআইএ। ছবি: উদিত সিংহ।
যেখানে কওসরের ডেরা ছিল, বর্ধমানের বাবুরবাগের সেই বাড়িতে বৃহস্পতিবার ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশি চালালেন এনআইএ-র অফিসারেরা। কথা বললেন বাড়ির নীচের তলার ছাত্রদের সঙ্গেও। ওই বাড়ি থেকে কিছু কাগজপত্র মিলেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে।
গোয়েন্দারা জেনেছেন, বাবুরবাগে এই বাড়ির দোতলায় ডেরা বেঁধেছিল খাগড়াগড়-বিস্ফোরণের অন্যতম পাণ্ডা কওসর। মাস তিনেক আগে সেটি ভাড়া নিয়েছিল কওসর। তার সঙ্গে এসে উঠেছিল হবিবুর। থাকত দুই মহিলাও, যাদের বোরখা ছাড়া কখনও দেখেননি এলাকাবাসী। এ দিন সেই বাড়িতে ঘণ্টা দুয়েক তল্লাশি চালান এনআইএ কর্তারা। সকাল ১১টা নাগাদ ওই বাড়িতে যান তাঁরা। তল্লাশিতে বেশ কিছু কাগজ, ডায়েরি মেলে। সেই ডায়েরি থেকে বেশ কিছু ফোন নম্বরও পাওয়া গিয়েছে, তা তদন্তের কাজে লাগতে পারে। এ ছাড়া বেশ কিছু টুথব্রাশও মিলেছে। তদন্তকারীরা জানান, ব্রাশগুলি ডিএনএ পরীক্ষার কাজে লাগানো হবে। তাঁদের দাবি, যে সমস্ত সন্দেহভাজন পালিয়ে বেড়াচ্ছে, তাদের খোঁজ করতে এবং ওই বাড়িতে যারা আসা-যাওয়া করত তাদের সন্ধান পেতে এই পরীক্ষা কাজে লাগতে পারে।
বেলডাঙায় চলছে এনআইএ-র জিজ্ঞাসাবাদ। সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছবি।
এ দিকে বুধবার ওই বাড়ির একতলার মেসে যে ছাত্রেরা থাকত তাঁরা ফিরেছেন। ফিরে তাঁরা জানতে পারেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল বর্ধমান থানায়। তবে বুধবার থানায় হাজির হলেও তাঁদের কিছু জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার ডিআইজি (এনআইএ) অনুরাগ তনখা ওই ছাত্রদের থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ওই ছাত্রদের থেকে জানা গিয়েছে, বাড়ির উপরের তলায় যারা থাকত, তারা দিনে বিশেষ ওঠানামা করত না। ঘরের বাইরেও বেরোত না। ওই ছাত্রেরা আরও জানায়, সন্ধ্যায় মেসে তাঁরা অনেক সময়েই থাকতেন না, পড়তে বা পড়াতে যেতেন। ওই দু’তিন ঘণ্টায় দোতলার লোকজন ওঠানামা করত বলেও তাঁদের দাবি। এ দিন খাগড়াগড়ের বাড়িতেও তল্লাশি হয়। বাড়ির মালিক হাসান চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছিল এনআইএ। বুধবার রাতে তাঁকে ব্যক্তিগত বন্ডে ছাড়া হয়েছে বলে তাঁর আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস জানান।
লালগোলার একটি বন্ধ মাদ্রাসায় উঁকি দিচ্ছে কৌতুহলী বালক। গৌতম প্রামণিকের ছবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy