Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ভোটে নিরাপত্তা নিয়ে ভিন্ জেলার পুলিশকর্তাদের বৈঠক

উদ্দেশ্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে লোকসভা নির্বাচন করা। সে জন্য বুধবার ঝাড়খণ্ডের দুমকা, পাকুড়, জামতাড়া এবং মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করল বীরভূম জেলা পুলিশ-প্রশাসন। সিউড়িতে প্রশাসনিক ভবনে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৪ ০৪:২১
Share: Save:

উদ্দেশ্য সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে লোকসভা নির্বাচন করা। সে জন্য বুধবার ঝাড়খণ্ডের দুমকা, পাকুড়, জামতাড়া এবং মুর্শিদাবাদ ও বর্ধমানের পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করল বীরভূম জেলা পুলিশ-প্রশাসন। সিউড়িতে প্রশাসনিক ভবনে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে বীরভূম জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, “আন্তঃজেলা এবং আন্তঃরাজ্যের বিভিন্ন জেলা, যেগুলির সঙ্গে আমাদের জেলার সীমারেখার যোগ রয়েছে, সেই সব জেলার পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। মূলত নিরাপত্তা বিষয়ক। নির্বাচন চলাকালীন বা নির্বাচনের আগে জেলার সীমারেখা যাতে পুরোপুরি বন্ধ রাখা যায়, সেটা সুনিশ্চিত করতে বিশদে আলোচনা হয়েছে।” বীরভূমের এসপি আলোক রাজোরিয়া বলেন, “কত সংখ্যক জওয়ান এখানে আসবে সেটা এখনও ঠিক হয়নি। যেহেতু আমাদের ৯টি মাওবাদী প্রভাবিত থানা রয়েছে, তাই সেখানে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কত বাহিনী প্রয়োজন সেটা আমরা অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে জানাব। আর মাওবাদী গতিবিধি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য আদান প্রদান করা এবং যৌথ আভিযান চালানোর বিষয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে।”

প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূম ঘেঁষা পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডের পাকুড়ের পুলিশ সুপার-সহ ছয় পুলিশকে হত্যা করেছিল মাওবাদীরা। তার পর থেকেই জেলার পুলিশ ও প্রশাসন যথেষ্ট সতর্ক থেকেছে। প্রশাসনে সূত্রের খবর, ঝাড়খণ্ডের কিছু থানা রয়েছে যেগুলি মাওবাদী প্রভাবিত অথবা ওই রাজ্যের জঙ্গলের সঙ্গে বীরভূমের সীমান্ত এলাকার জঙ্গলের যে যোগ রয়েছে, সেই পথ ধরে সহজেই যাতায়াত করা যায়। সেই কারণেই, জেলার সীমান্তবর্তী থানাগুলিতে মাওবাদীদের গতিবিধি রুখতে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করা হল। যাতে লোকসভা নির্বাচনের আগে কোনও ধরনের নাশকতা না ঘটে বা সীমানা পেরিয়ে মাওবাদীদের গতিবিধি বাড়তে না পারে। জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ের পর থেকেই বীরভূমে মাওবাদী গতিবিধি নিয়ে কিছুটা হলেও ঢিলেঢালা ছিল পুলিশ প্রশাসন। সীমান্ত ঘেঁষা থানাগুলিতে বা যে সব এলাকা দিয়ে মাওবাদীরা যাতায়াত করে বলে চিহ্নিত ছিল, সেই সব গ্রামে আগে নিয়মিত এলআরপি (লঙ্ রেঞ্জ পেট্রোল) করত পুলিশ। সেগুলিও মাঝে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০১২ সালের শেষ বা ২০১৩ সালের শুরুর থেকেই সেই সব অঞ্চলে আবার নতুন করে মাওবাদী গতিবিধি নজরে আসার পরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন করে পুলিশ। গত জুলাইয়ে ঝাড়খণ্ডের ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী পায় জেলা। এসপি অলোক রাজোরিয়া জানিয়েছেন, এই মূহূর্তে মোট ৪ কোম্পানী কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। যেটা আগে ছিল না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

law and order security loksabha election siuri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE