Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ভারত ও বাংলাদেশের প্রশাসনিক বৈঠক

বর্ধমান বিস্ফোরণের সুতোয় জড়িয়ে গিয়েছিল পড়শি জেলা নদিয়া। খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম মাথা, বাংলাদেশের নাগরিক শাকিল আহমেদের ডেরা ছিল এই জেলার সীমান্ত-গ্রাম বরবাকপুরে। তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র জালে ক্রমান্বয়ে উঠে এসেছে নদিয়ার জঙ্গি-যোগের বিভিন্ন সূত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২১
Share: Save:

বর্ধমান বিস্ফোরণের সুতোয় জড়িয়ে গিয়েছিল পড়শি জেলা নদিয়া।

খাগড়াগড় কাণ্ডের অন্যতম মাথা, বাংলাদেশের নাগরিক শাকিল আহমেদের ডেরা ছিল এই জেলার সীমান্ত-গ্রাম বরবাকপুরে। তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএ-র জালে ক্রমান্বয়ে উঠে এসেছে নদিয়ার জঙ্গি-যোগের বিভিন্ন সূত্র।

সেই আবহে, শুক্রবার, নদিয়ার কৃষ্ণনগরে ভারত-বাংলাদেশ দু’দেশের জেলা স্তরের প্রশাসনিক কর্তাদের বৈঠক বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। এ দিন, বাংলাদেশের ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, চুঁয়াডাঙা, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও চাপাই নবাবগঞ্জ জেলার পদস্থ কর্তা, বাংলাদেশের বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের অন্তত ৪০ জন কর্তা কৃষ্ণনগরে এসে নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে ঘণ্টা চারেক বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের বর্ডার ডিমারকেশন দফতরের কর্তারাও। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দেশের জেলা স্তরের কর্তাদের মধ্যে এই ধরনের আলোচনা হল প্রায় আঠারো বছর পরে।

এ দিনের বৈঠকে, সীমান্ত-সন্ত্রাস রোধের পাশাপাশি দু’দেশের সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা হয় বলে জানা গিয়েছে। অপরাধের পরে অনেক সময়েই সীমান্ত উজিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া অপরাধীদের চেনা রেওয়াজ। এমন ১১২ জন দুষ্কৃতীর নামের তালিকা এ দিন দেওয়া হয় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের হাতে। তবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা এমন কোনও তালিকা তুলে দেননি বলেই জানা গিয়েছে।

সারদা কাণ্ড নিয়ে ফের পথে বামেরা

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

সারদা-কাণ্ডে রাজ্য সরকারকে চাপে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখল বামেরা। মুখ্যমন্ত্রীকে জেরার দাবিতে শুক্রবার ফের পথে নামল তারা। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ থেকে থেকে কলেজ স্কোয়ার পর্যন্ত এ দিন মিছিল করল সিটু, এআইটিইউসি, ইউটিইউসি, টিইউসিসি-সহ বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলি। মুখ্যমন্ত্রীকে জেরা, সারদা-তদন্তে গতি আনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত আমানতকারীদের টাকা ফেরতের দাবি তুলেছেন শ্রমিক নেতারা। সিটু নেতা দীপক দাশগুপ্ত, এআইটিইউসি-র রণজিৎ গুহ, ইউটিইউসি-র অশোক ঘোষ প্রমুখ মিছিলে ছিলেন। উত্তরবঙ্গে গিয়ে এ দিনই সারদা নিয়ে সরব হয়েছেন সিপিএম সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সারদার তদন্ত কান অবধি পৌঁছেছে। মাঝখানে আবার কোনও ‘ডিল’ না হয়ে যায়! ছবি বিক্রি করে রাজ্যের মানুষদের লুঠ করার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল চিট ফান্ড সংস্থাগুলিকে!” সাংসদের বক্তব্য, “দোষীদের শাস্তি যাতে দ্রুত গতিতে হয়, সেটা দেখতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

khagragarh blast india bangladesh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE