প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পাহাড় থেকে মুখ ফিরিয়েছেন তিনি। তবে ওই সময়ে তাঁর পছন্দের জঙ্গলমহলে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে এমনই খবর। দলীয় সূত্রেও খবর, ১৩ অক্টোবর রাতে ঝাড়গ্রাম যেতে পারেন তিনি। পরের দিন ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপারের অফিসে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকের কথা তাঁর। বিকেলে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে হবে জনসংযোগ সভা।
মুখ্যমন্ত্রীর হবু-সফর ঘিরে শুক্রবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের মধ্যে শুরু হয়েছে তৎপরতা। এ দিন জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা ও জেলা পুলিশ সুপার তথা ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়াম ঘুরেও দেখেন। তবে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর সফর নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ অবশ্য বলেন, “আগামী সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী ঝাড়গ্রামে আসছেন। মঙ্গলবার প্রশাসনিক আধিকারিকদের নিয়ে উন্নয়ন সংক্রান্ত পর্যালোচনা বৈঠক করবেন। একটি অনুষ্ঠানেও যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।” জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলে আসন্ন বাঁদনা পরবকে সামনে রেখে সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিজয়া সম্মিলনী করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
১৩-১৭ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফরের কর্মসূচি নির্ধারিত ছিল। মমতা চেয়েছিলেন, ওই সময়ে ট্রেক করে সান্দাকফু যেতে। ইতিমধ্যে ঘুর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’-এর সতর্কবার্তা জারি হয়। তার জেরে আপাতত সান্দাকফু ট্রেকিংয়ের পরিকল্পনা বাতিল করে দেন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র তথা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনও টুইট করে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের কারণেই পাহাড় সফর বাতিল করেছেন মমতা। প্রশাসন সূত্রের খবর, ১২ অক্টোবর ঝড়ের পূর্বাভাস থাকায় মুখ্যমন্ত্রী কলকাতা ছেড়ে যেতে চান না। তাই পর দিন তিনি ঝাড়গ্রাম যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বারও ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির অতিথিশালায় রাতে থাকার কথা মমতার। সেই মতো অতিথিশালার অগ্রিম বুকিং বাতিল করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy