দেবলীনা কুমার। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
ভ্যালেন্টাইন্স ডে, মাদার্স ডে, ফাদার্স ডে, রোজ ডে-র মতোই একটা দিন ইন্টারন্যাশনাল উইমেন্স ডে। এটা বললে ভুল হবে যে, এই দিনগুলোর কোনও দরকার নেই। কারণ, সত্যি হয়তো যাদের জন্য এ সব বিশেষ দিন, সেই মানুষগুলোকে প্রত্যেক দিন আলাদা করে আমরা সময় দিতে পারি না। তাদের স্পেশ্যাল ফিল করাতে পারি না। এতটাই ফাস্ট আমাদের জীবন। আমাদের এত অনুভূতি বহিঃপ্রকাশের কোনও সুযোগ হয়তো আসে না। সে দিক থেকে ভাবলে এই বিশেষ দিনগুলো নিয়ে আমার কোনও আপত্তি নেই।
কিন্তু ‘উইমেন্স ডে’ একটি বিশেষ দিন হিসেবে দেখলে আমার আপত্তি আছে। কারণ ফাদার্স ডে আছে, মাদার্স ডে আছে। এখানে দুটো জেন্ডারের মানুষকেই আমরা সমান প্রাধান্য দিচ্ছি। কিন্তু উইমেন্স ডে মানে শুধুই নারী দিবস। কোনও ‘নর দিবস’ নেই। তার মানে বছরের ৩৬৪ দিন ছেলেদের। আর মেয়েদের অবদানকে মনে রাখার জন্য মাত্র একটা দিন? এটা আমি মেনে নিতে পারি না।
আজকের যুগে মেয়েরা যদি শিক্ষিত হয়, স্বনির্ভর হয় তা হলে তার প্রগতিকে কেউ আটকাতে পারবে না। যে মানুষটা বাড়িতে উপার্জন করে, তার কিন্তু কথার দাম থাকে। আগে পুরুষরাই উপার্জন করত, তাদের কথার একটা দাম ছিল। কিন্তু যে মুহূর্তে একজন আর্নিং মেম্বার মহিলা হবেন, সেখানে সেই মহিলার ওপর কেউ কথা বলবেন না। আবার এখন এমন অনেক পরিবার আছে যেখানে কোনও মহিলাই তাঁর পরিবারকে আর্থিক দিক থেকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন, ‘মহিলাদের যেন মহিলারাও সম্মান করেন’
আসলে মেয়েরা বাড়ি এবং বাইরে দুটোই সমানতালে সামলায়। ছেলেরা এখন অনেকটাই সেই চেষ্টা করছেন। কিন্তু সেটা ছেলেদের স্বভাবজাত কি না আমার জানা নেই। তবে মেয়েদের টাইম ম্যানেজমেন্ট সত্যিই প্রশংসনীয়।
আরও পড়ুন, ভগবান যে ভাবে তৈরি করেছেন, সেই আমিটাকেই ভালবাসুন
দেখুন, সোজা কথা হল, যদি একটা মেনস ডে থাকে, যদি সেটাও সেলিব্রেট করা হয়, তা হলে উইমেন্স ডে মেনে নিতে আমার কোনও আপত্তি নেই। সে দিন বুঝব, আমাদের মধ্যে ভেদাভেদটা সত্যিই আর নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy