Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Women News

৬৮ বছর ধরে সেবার স্বীকৃতি, পদ্মশ্রী ডক্টর দাদি

পদ্ম সম্মান ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বিরাট কোহলি, দীপা কর্মকারের মতো নামগুলোর পাশে জ্বলজ্বল করছে আরও প্রচুর নাম। যাঁরা বহু বছর ধরে নীরবে করে গিয়েছেন নিজেদের কাজ, কেউ বাঁচিয়েছেন অসংখ্য প্রাণ, কেউ গড়ে তুলেছেন নিজের স্বতন্ত্র পরিচিতি।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০১৭ ১৩:২৮
Share: Save:

পদ্ম সম্মান ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। বিরাট কোহলি, দীপা কর্মকারের মতো নামগুলোর পাশে জ্বলজ্বল করছে আরও প্রচুর নাম। যাঁরা বহু বছর ধরে নীরবে করে গিয়েছেন নিজেদের কাজ, কেউ বাঁচিয়েছেন অসংখ্য প্রাণ, কেউ গড়ে তুলেছেন নিজের স্বতন্ত্র পরিচিতি। কিন্তু কখনই সে ভাবে উঠে আসেননি খবরের শিরোনামে। তাঁদের নিয়ে হইচইও হয়নি। সেই সব আনসাঙ হিরোরাও এ বার পদ্মসম্মান প্রাপকদের তালিকায়। এদের মধ্যে রয়েছেন ৯১ বছরের ডক্টর দাদি।

ইনদওরের প্রথম মহিলা এমবিবিএস ভক্তি যাদব। ১৯৪৮ সাল থেকে দরিদ্রের বন্ধু তিনি। আজ পর্যন্ত ১ লক্ষেরও বেশি রোগীর চিকিত্সা করেছেন বিনামূল্যে। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মহিলা। নিজের শহর ইনদওর ছাড়াও গুজরাত ও রাজস্থানের অসংখ্য মহিলার প্রসব সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করিয়েছেন সকলের ডক্টর দাদি। কেরিয়ারের শুরু থেকেই ইনদওরের প্রথম বিনামূল্যে চিকিত্সাকারী গাইনকোলজিস্ট হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু জনপ্রিয়তা কোনও পুরস্কার বা স্বীকৃতি থেকে আসেনি। এসেছে দশকে পর দশক ধরে দরিদ্রদের প্রতি তাঁর ভালবাসা ও সেবার মধ্যে দিয়ে।

ইনদওরের এমজিএম মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন ভক্তি যাদব। সরকারি হাসপাতালের চাকরি প্রত্যাখ্যান করে কাপড়ের মিলের দরিদ্র শ্রমিকদের স্ত্রীদের চিকিত্সা করতে নন্দলাল ভাণ্ডারি মেটারনিটি হোমে যোগ দেন। বেশ কয়েক বছর এই হোমে প্রধান চিকিত্সক হিসেবে কাজ করার পর ইনদওরের পরদেশিপুরায় নিজের নার্সিং হোম গড়ে তোলেন।

৬৮ বছর ধরে মানুষের পাশে থাকাকে স্বীকৃতি জানাতে তাঁকে পদ্মসম্মানে ভূষিত করছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: মেয়ে হয়ে পেশী প্রদর্শন? যেতে হল জেলে

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Padmashree Dr Dadi Padma Awards
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE