বিষ্ণুপুরের শালবাগানের মেয়ে ইপ্সিতার এ কাজের হাতেখড়ি তাঁর বাবা শান্তনু ঘোষ ও মা রানু ঘোষের হাত ধরে। ইপ্সিতা জানান, সমাজকর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন শান্তনুবাবু।
রাজদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়
০২ অক্টোবর, ২০১৯
দিগনগর ২ পঞ্চায়েত এলাকার চরণপাড়া গ্রামে দুই নাবালিকা মেয়ে-সহ মাকে কাজের টোপ দিয়ে ভিন্ রাজ্যে পাচার করে দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের ফিরিয়ে আনার পরে ওই এলাকায় নারী পাচার নিয়ে একাধিক বার সচেতনতার শিবির করেন দিদিমণি।
প্রদীপ মুখোপাধ্যায়
০২ অক্টোবর, ২০১৯
সুশান্ত বণিক
উত্তর ২৪ পরগনার উত্তর গোবিন্দহাটি গ্রামে বাড়ি সাইনুরের। মেধাবী এই ছাত্রী টিউশন ছাড়াই মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক থেকে স্নাতক, সব স্তরেই ভাল ফল করেছিলেন।
সুচন্দ্রা দে
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই দুই গ্রামে মোট মহিলা ঢাকিদের মোট পাঁচটি দল রয়েছে। দুই গ্রামে মহিলা ঢাকির সংখ্যা মোট প্রায় ৬৫ জন।
কেদারনাথ ভট্টচার্য
কালনার কৃষ্ণদেবপুর এলাকায় এসটিকেকে রোড ঘেঁষা ১৪ কাঠা জমির উপর একতলা বাড়ি অণিমাদেবীর। ভেতরের তিনটে ঘরে ছেলেমেয়েদের রাজত্ব।
সৌমেন দত্ত
চিত্তরঞ্জনের কল্যাণগ্রামের মেয়ে সায়ন্তীদেবী ২০১৩ সাল থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে নার্স হিসেবে কাজ শুরু করেন।
প্রশান্ত পাল
রবীন্দ্রভবনে ‘জাগো’ নামের অনুষ্ঠানে বাল্যবিবাহ রোধ, সামাজিক পরিষেবা, শিক্ষা, ক্রীড়া-সহ আটটি ক্ষেত্রে নজরকাড়া সাফল্যের জন্য ৫৬ জনের হাতে তুলে দেওয়া হল সম্মান।
গায়ত্রী পাল
মেয়েদের জয় দেখলাম, দেখলাম অভিনব উদ্যাপনও। কারও ভঙ্গিতে ‘চায়ের কাপে চুমুক’, তো কেউ সটান দাঁড়িয়ে রইলেন দু’হাত বাড়িয়ে। অনেকেই বলছেন, এ-সব বাড়াবাড়ি। দম্ভের প্রকাশ।
প্রশান্ত পাল
রেলকর্মীরা জানাচ্ছেন, স্টেশনের প্যানালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে গেট খোলা, বন্ধ করা এবং লাল-সবুজ ব্যানার ফ্ল্যাগ নাড়তে হয় গেটম্যানদের। কাজ খুব ভারী না হলেও, দায়িত্ব বিরাট।
রোশেনারা খান
ইসলাম ধর্মের অভ্যুথানের শুরু থেকেই ধর্মীয় আইনের (শরিয়তি) মাধ্যমে মুসলিম মেয়েদের বিভিন্ন অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে।
সমীর দত্ত
কুন্তীর বাবা ফণী গড়াই বলেন, ‘‘জমি জমা নেই। ধারদেনা করে মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলাম। মেয়েটাই সমস্ত কিছু করে। ও-ই সংসারটা চালায়।’’
পাপাই বাগদি
সরস্বতী জানালেন, নতুন নাটক ‘ডেথ অফ ওয়ানস্ হোপ’-এ নানা ভাবে ফিরে এসেছে চাপা কান্নার সেই সব ইতিহাস। নাটকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এসেছে অনেক নারী চরিত্র। নিজের লেখা নাটকের নির্দেশকও তিনি।
আইভি আচার্য
বাস্তবে এখনও মেয়েদের নিজেদের কোনও বাড়ি নেই, পরিচয়ও নেই। না বাপের বাড়ি, না শ্বশুরবাড়ি— কোনওটাই এক জন মেয়ের নিজস্ব বাড়ি নয়।
দয়াল সেনগুপ্ত
পরিবারের অভিযোগ, গরু চড়াতে এসেছিল পাশের গ্রামের এক যুবকও। জঙ্গলের মধ্যে একা ওই তরুণীকে পেয়ে তাঁকে ওই যুবক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
সুপ্রকাশ মণ্ডল
দাঁড়িয়ে থাকার বিলাসিতা তাঁর চলে না। এক ছুটে গিয়ে গেট তুলতে হয় তাঁকে। তারপরেও অবশ্য অবসর মেলে না। বৈদ্যুতিন বোর্ডে চোখ রেখে দেখতে হয় কোন ট্রেন ঢুকছে। তার সিগন্যালও যে তাঁকেই দিতে হবে। সামান্য ভুলচুক হলেই সর্বনাশ।
সুব্রত জানা
রাবেয়া বেগমের স্বামী ফৈজুল রহমান চটকলে শ্রমিকের কাজ করতেন। সামান্য রোজগারেও টেনে নিয়ে চলতেন সংসার। স্বপ্ন ছিল তাঁরও— ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করবে, করবেই। তাই আল আমিন মিশনে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সকলকে। কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই এক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। বছর চারেক আগে ফৈজুলের যখন মৃত্যু হয় বড় ছেলে হাসান তখনও দশম শ্রেণি পাশ করেনি। সেই ছেলে এখন শেখ মহম্মদ হাসানুর রহমান— সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র।
জয়ন্ত সেন
বেশ কয়েক বছর আগে পথ দুর্ঘটনায় মারা যান রিজওয়ানা পারভিনের বাবা। তাঁর মৃত্যুতে প্রায় পথে বসার জোগাড় হয়েছিল পরিবারের। মা ফিরোজা দিনমজুরি করে সংসারের হাল ধরেছিলেন। পাশাপাশি, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী রিজওয়ানার লেখাপড়ার খরচও চালাচ্ছেন তিনি।
দীপালি কর
কিন্ত আমি তো বিয়ে করতে চাইনি। পড়শোনা করতে চেয়েছিলাম। আমার বয়সও তখন মাত্র ১৬ বছর। বিয়ে করব না— এটা বাড়িতে বলা সহজ ছিল না। পাড়ার এক বন্ধুকে এ বিষয়ে জানাই। সে-ই পুলিশকে জানিয়ে আমার পরিবারকে বোঝানোর ব্যবস্থা করে। পুলিশ বিয়ে আটকায়।
নিজস্ব সংবাদদাতা
সমিতি সূত্রের খবর, আজ শুক্রবার পারভিন বেগম, প্রণতি রায় এবং পুষ্প সাঁতরা নামে ওই তিন মহিলার হাতে বিপ্লবী কুমুদিনী ডাকুয়ার নামাঙ্কিত পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। পারভিন এবং প্রণতির লড়াইটা দৈনন্দিন জীবনে। সংসারের চাকা ঘোরাতে তাঁরা হাল ধরেছেন। তমলুকের চনশ্বরপুর এলাকার বড়বড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা পারভিনের বিয়ে হয়েছিল গ্রামেরই বাসিন্দা পেশায় কাঠের মিস্ত্রি মহম্মদ মাইমুদের সঙ্গে। তাঁদের চার সন্তান। সকলেই শ্রবণ এবং মানসিক প্রতিবন্ধী।
সুনন্দ ঘোষ
তড়িঘড়ি উড়ান ধরতে ছুটলেন তিনি। সন্ধ্যার উড়ান। দিল্লির।
পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়
ক্ষতবিক্ষত মেয়েবেলায় তিনি দিনের পর দিন বাবার হাতে মাকে বেধড়ক মার খেয়ে শেষে ঘর ছাড়তে দেখেছিলেন। পড়াশোনার প্রবল আগ্রহ থাকলেও বাবা আর সৎ মা ১৩-য় পা দেওয়ামাত্র তাঁর বিয়ে দিলেন দ্বিগুণের বেশি বয়সি বরের সঙ্গে। শুরু হল আর এক দুঃস্বপ্ন।
সুশান্ত বণিক
সালানপুর ব্লক কৃষি দফতরের উদ্যোগে সম্প্রতি গ্রামের মহিলাদের স্বনির্ভর করে তুলতে একাধিক প্রকল্প চালু করা হয়। এ ব্যাপারে কৃষি আধিকারিকেরা রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েতের বৃন্দাবনি গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু, প্রথমে কেউই আগ্রহ দেখাননি।
নীলোৎপল রায়চৌধুরী
বৃহস্পতিবার শোনপুর বাজারি প্রকল্পের কর্মী বদনিদেবী শোভেলে ওঠার আগে জানান, কাজে যোগ দেওয়ার পরে প্রথমে তাঁকে সাধারণ মজুরের কাজ করতে বলা হয়। কিন্তু, দিন কয়েকের মধ্যেই তাঁর মনে হয়, এমন ভারী কাজ করাটা সম্ভব নয়। তখনই ঠিক করেন, ‘শোভেল অপারেটর’ হবেন। সেই সময়ে প্রকল্পে এই কাজে এক জনও মহিলাকর্মী ছিলেন না।
কেদারনাথ ভট্টাচার্য
সরকারি নথি বলে, এ জেলায় তাঁতির সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার। তার সঙ্গে রং, নলি, ববিন পাকানোর কাজ ধরলে সে সংখ্যা পৌঁছে যাবে লাখখানেকে। তার মধ্যে তাঁত বোনার কাজ মূলত পুরুষেরা করলেও তার জোগাড় দিতে হয় বাড়ির মেয়েদেরই।
সৌমেন দত্ত
গত ২৫ বছর ধরে বর্ধমান স্টেশনে থাকা শিশু, কিশোর, বয়স্কদের দেখভাল করছেন ধোকরা শহীদ এলাকার বাসিন্দা দুর্গাদেবী। সবাই তাঁকে ‘মা’ বলেই ডাকেন। সন্তানদের দেখভালের জন্যে তিনি ৬৫ বছর বয়সেও সপ্তাহে দু’দিন ট্রেনে করে শাড়ি ফেরি করেন। এ ছাড়াও অন্য দিন হুগলির বৈঁচি, পান্ডুয়া থেকে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে শিক্ষিকাদের শাড়ি বিক্রি করেন।
খাদিজা বানু (সমাজকর্মী)
কোনও ভাই নেই। ফলে প্রাথমিক শিক্ষক বাবা লেখাপড়া শেখাতে চাইলেন। মাধ্যমিক পাশ করার পর অভিভাবকেরা বিয়ে দিতে চাইলেন। ওটাই তখন ওই তল্লাটের রেওয়াজ। আমি চাইলাম আরও লেখাপড়া করতে। প্রথা ভাঙার সেই কাজটি করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছিল।
মুর্শিদা খাতুন (শিক্ষিকা)
জাকিরুন বেগম (সমাজকর্মী)
মুসলিম পরিবার। ফলে ছোটবেলা থেেকই নানান নিয়ম, আচারের মধ্যে দিয়ে যেতে হত। আর এ সবের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই চিহ্নিত হয়ে যেতাম বিদ্রোহী হিসেবে। তার ফলটা শ্বশুরবাড়িতে এসেও টের পেয়েছিলাম। মুসলমান মেয়েদের পারিবারিক অত্যাচার থেকে বের করে আনতে গিয়ে এক সময়ে নিজেও একঘরে হয়ে পড়েছিলাম। সমাজ থেকে দূরে জঙ্গলের আড়ালেই ছিল ঘর।
অনল আবেদিন
রাতের দিকে খুব দূরের যাত্রী নেন না। তবে শহরের অলিগলিতে ঘরমুখো মানুষটাকে না নামিয়ে দিতে পারলে রাতের ভাত আর নিদেনপক্ষে সব্জির পরিপাটি আহারটুকু নিয়েও সংশয় তো থেকেই যায়। বহরমপুরের মহিলা টোটো চালক সোনালি জানা তাই রাতেও কিঞ্চিৎ ঝুঁকি নিয়েই যাত্রী নিয়ে ছোটেন।
দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়
পারুল বালা কাটা কাটা স্বরে বললেন, “না না, আমরা সেই দিনটাই মনে রাখি যে দিন অনেক ভিড় হয়। অনেক বেশি ভিক্ষা পাই। বাকি কোনও দিনই আমাদের নয়।”
পারিজাত বন্দ্যোপাধ্যায়
কুঁজো বুড়ির গল্প অনেকেই শুনেছে। কিন্তু বুড়ি কেন কুঁজো হল, তা নিয়ে আর কে-ই বা ভাবে!
স্বাতী মল্লিক
এখনও কতটা ‘পরাধীন’ এ দেশের মেয়েরা? নিজের কথা বলার অধিকার আদৌ আছে কি তাঁদের? কতটা ক্ষমতা হাতে পান তাঁরা? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আগে বৃহস্পতিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘উইমেন্স কনক্লেভ’ অনুষ্ঠানের আলোচনাচক্রে বারবার ঘুরে এল এ সব প্রশ্নই।
সুচন্দ্রা ঘটক
রাস্তায় ফেলে যে দিন চলে গিয়েছিলেন স্বামী, লক্ষ্মীদি তখন বছর বাইশ। কোলে আড়াই বছরের সন্তান। ঘর-বাড়ি নেই, রোজনামচার সব জিনিসও চলে গিয়েছে স্বামীর দ্বিতীয় সংসার সাজাতে।
সুপ্রকাশ মণ্ডল
মুখে হুইসল, হাতে পতাকা। লাইনের ধারে দাঁড়িয়ে তিনি। ট্রেন ছুটছে।
নীলোৎপল বিশ্বাস
মা উড়ালপুল ধরে ছুটছে গাড়ি। বছর পনেরোর মেয়ের চোখ চকচক করে ওঠে! লাফিয়ে উঠে চালকের আসনে বসা মাকে বলে, ‘‘আমিও তোমার মতোই গাড়ি চালাব!’’ পরে চোখ রাখে বিকেলের আকাশে। স্বপ্নের জন্ম হয়!
স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
প্রতিমা তৈরির দক্ষ কারিগর হিসেবে চায়না পাল ঘুরে এলেন চিনও! কেমন তাঁর জীবনযুদ্ধ?
বিদীপ্তা চক্রবর্তী
ক্যালেন্ডারে একটা দিন মেয়েদের বলে মার্ক করে দিয়ে কোনও লাভ হয়েছে কি?
স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
সূর্য ডুবলে অদ্ভুত আঁধার নামে সোনালির ঘরে। সোনালি জেগে ওঠেন নাগরিক সড়কে।
স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়
‘‘মুসলিম মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে হয়ে যায়। আমি এটা বন্ধ করতে চাই।’’ সজোরে বলে মনিরা।