সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের একটা ভিডিও ইউটিউবে। ভেসে উঠল আইএস-এর চতুর্থ বন্দির মুখ। ব্রিটিশ চিত্রসাংবাদিক জন ক্যান্টলি। পরনে সেই চেনা কমলা গেঞ্জি। মুখে আর্তি, “হয়তো আর বাঁচব না!”
অগস্ট মাস থেকে শুরু হয়েছে সিরিয়া ও ইরাকের জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর নিধন যজ্ঞ ও ইউটিউবে সেই ভিডিও প্রকাশ করার পালা। গত মাসে জঙ্গিরা মার্কিন সাংবাদিক জেমস ফোলির মাথা কেটে হত্যা করার পর সেই ভিডিও ছেড়ে দেয় ইউটিউবে। এ মাসে আরও দু’টি ভিডিও প্রকাশ করে আইএস। প্রথমে মার্কিন সাংবাদিক স্টিভেন সটলফ ও পরে ব্রিটিশ সমাজকর্মী ডেভিড হেনসকে হত্যার ভিডিও। এ বারে অবশ্য একেবারে মুণ্ডচ্ছেদ করার দৃশ্য না দেখিয়ে জনের মুখ দিয়ে আমেরিকা-ব্রিটেনের উদ্দেশে কিছু নির্দিষ্ট বার্তা পাঠাতে চেয়েছে জঙ্গিরা।
“আফগানিস্তান, ইরাকের ওই বীভৎস যুদ্ধের পর কেন আমাদের সরকার ফের একটা নতুন বিতর্কে নাক গলাচ্ছে?” জনের মুখে এ হেন কথা শোনার পর অনেকেরই বক্তব্য, এ সব আসলে জঙ্গিদের কথা। জনের পরবর্তী কথাগুলো ছিল এই নিয়েই। “আপনারা কী ভাবছেন, আমি জানি। ভাবছেন আমি বন্দি, তাই এই সব বলছি। আমাকে দিয়ে বলানো হচ্ছে।” খানিক থেমে ফের বলেন, “...কিছুটা ঠিকই ভেবেছেন। আমি তো বন্দিই। তবে এটাও তো ঠিক, আমাকে বাঁচাতে ব্রিটিশ সরকার কিছুই করেনি।”
২০১২-এ সিরিয়ায় জন ও এক ওলন্দাজ সাংবাদিককে অপহরণ করা হয়েছিল। এক দিন তাঁরা জঙ্গিদের তাঁবু কেটে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা টের পেয়ে যায়। জনদের লক্ষ্য করে পায়ে গুলি করে। এর বেশ কিছু দিন পরে সিরিয়ার সরকারি সেনা উদ্ধার করে তাঁদের। কিন্তু সে মুক্তি ছিল কিছু দিনের জন্যই। ওই বছরই নভেম্বর মাসে জেমস ফোলির সঙ্গে ফের অপহরণ করা হয় জন ক্যান্টলিকে। তাঁর আক্ষেপ, গত দু’টো বছর তাঁকে উদ্ধার করতে এতটুকু চেষ্টা করেনি ব্রিটেন সরকার। জনের কথায়, “আমার ভাগ্য এখন আইএস-এর হাতে। হয়তো আমি বাঁচব। হয়তো বাঁচব না। কিন্তু তার আগে বলতে চাই, যদি আপনারা (রাষ্ট্রনেতারা) একটু অন্য ভাবে ভাবেন, তা হলে হয়তো কিছু মানুষ বেঁচে যেতে পারেন।”
আফগানিস্তান, সোমালিয়া, লিবিয়া, সিরিয়ার মতো বহু দেশ ঘুরে ছবি তুলতেন জন। এ ভাবেই এক বার সিরিয়ায় গিয়ে আর ফেরা হয়নি। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে জনের প্রোফাইলে এখনও লেখা, “সাধারণ মানুষের অসাধারণ মুহূর্ত তুলে ধরতে আমি ভালবাসি।”
জয়ী কৃত্তিকা
সংবাদ সংস্থা • নিউ ইয়র্ক
মার্কিন পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলায় জিতলেন ভারতীয় কূটনীতিক দেবাশিস বিশ্বাসের মেয়ে কৃত্তিকা। স্কুলে পড়ার সময় বেআইনি গ্রেফতার ও হেনস্থার জন্য কৃত্তিকাকে সওয়া দু’লক্ষ ডলার ক্ষতিপূরণ দেবে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন। এই রায় দিয়েছেন সাদার্ন ডিস্ট্রিক্ট অব নিউ ইয়র্কের ডিস্ট্রিক্ট জজ। ২০১১-এ শিক্ষকদের অশ্লীল মেল পাঠানোর অভিযোগে গ্রেফতার হন কৃত্তিকা। তাঁর কৌঁসুলির দাবি, “যে ব্যক্তি অশ্লীল মেল পাঠিয়েছিল, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
খুন করে আত্মঘাতী
সংবাদ সংস্থা • হিউস্টন
মেয়ে এবং ছয় নাতি-নাতনিকে গুলি করে আত্মঘাতী হলেন হিউস্টনের এক ব্যক্তি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ৫১ বছরের ডন স্পিরিট প্রথমে গুলি করে তাঁর মেয়ে এবং ছয় নাতি-নাতনিকে হত্যা করেন। সন্ধ্যা সাড়ে চারটা নাগাদ ৯১১-এ (আপৎকালীন পরিষেবা) ফোন করে নিজেই এই ঘটনার কথা জানান পুলিশকে। কিন্তু পুলিশ আসার আগেই আত্মঘাতী হন তিনিও। এর পর বাড়ির ভিতর অনুসন্ধান চালিয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy