Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

৪০ জনকে মেরেছি, স্বীকারোক্তি খুনির

ঘরভর্তি সব বাঘা বাঘা গোয়েন্দা-পুলিশ। চেয়ারে বসে থাকা ফাঁসির আসামিটিকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছে। একটা-দু’টো নয়, সে ন’টা খুনে অভিযুক্ত। কোনও ফিল্মের প্লট নয়। সত্যি ঘটনা। সে কাহিনির মোড় ঘুরল হঠাৎই। খুনি নিজেই বলল, দু’দশকের কেরিয়ারে ৪০টা খুন করেছে সে।

সংবাদ সংস্থা
ক্যালিফোর্নিয়া শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:১৬
Share: Save:

ঘরভর্তি সব বাঘা বাঘা গোয়েন্দা-পুলিশ। চেয়ারে বসে থাকা ফাঁসির আসামিটিকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছে। একটা-দু’টো নয়, সে ন’টা খুনে অভিযুক্ত।

কোনও ফিল্মের প্লট নয়। সত্যি ঘটনা। সে কাহিনির মোড় ঘুরল হঠাৎই। খুনি নিজেই বলল, দু’দশকের কেরিয়ারে ৪০টা খুন করেছে সে। ঘরে তখন পিন পড়লেও শোনা যাবে। গত বছর মেক্সিকো থেকে অ্যারিজোনা ঢোকার সময় পুলিশের জালে ধরা পড়েছিল ৫১ বছর বয়সী হোসে ম্যানুয়েল মার্তিনেজ। তার পরই শুরু হয় তদন্ত। নাম জড়ায় ন’টি খুনের মামলায়। পুলিশের দাবি, একটি মাদক চোরাচালানকারী দলের হয়ে চুক্তিতে খুন করত সে। তদন্তের খাতিরে মার্তিনেজকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়ে গিয়ে জেরা করা শুরু হয়। এ রকমই এক জেরার মুখে বিস্ফোরণ ঘটাল অভিযুক্ত স্বয়ং। বলল, ৯টা নয়, আরও অনেক বেশি খুন করেছে সে। কম করে ৪০টা। কনট্রাক্ট কিলার মার্তিনেজ গোয়েন্দাদের জানিয়েছিল, ১৬ বছর বয়সে এই পেশায় তার হাতেখড়ি। বলেছিল, “আমার রোজগারেই পরিবারের পেট চলত। আর তা ছাড়া আমি না করলে এই কাজটা অন্য কেউ তো করতই।”

১৯৮০-২০১১ একের পর এক খুন, ডাকাতি, অপহরণ কাণ্ডে জড়িয়েছে মার্তিনেজের। তার মধ্যে পুলিশের খাতায় উঠেছিল ন’টি অপরাধের কথা। টুলারেতেই ছ’জনকে খুন করেছিল মার্তিনেজ। কার্ন-এ সংখ্যাটা এক। ২০০০ সালে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে মেরেছিল ঘুমন্ত মা ও চার সন্তানকে। সে ঘটনার স্মৃতি লোকের মনে টাটকা। ছেলের কুকীর্তির খবর গিয়েছে বৃদ্ধা মায়ের কাছেও। মানতে পারছেন না লোরেটা ফার্নান্ডেজ। বললেন, “ছেলে খুনি, এ কথা মেনে নেওয়া কঠিন। শোনা ইস্তক হাত-পা কাঁপছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

california
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE