মেয়েদের গণ্ডি বেঁধে দিতে বাল্যবিবাহ ও বৈবাহিক ধর্ষণকেও বৈধ করার কথা ভাবছে ইরাকের পার্লামেন্ট। বিল পেশ হয়ে গিয়েছে। শুধু পাশ হওয়াটুকুই বাকি। এত দিন যে সব অত্যাচার ঘরের চার দেওয়ালে বন্দি ছিল, ‘জাফারি আইন’ নাম দিয়ে তাকেই বৈধতা দেওয়ার প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ মানবাধিকার কর্মীরা।
খসড়া প্রস্তাবে বাল্যবিবাহকে সরাসরি আইন করার কথা বলা হয়নি। জানানো হয়েছে, নতুন আইনে ৯ বছর বয়স হওয়ার পর মেয়েরা বিবাহবিচ্ছেদ করতে পারে। অর্থাৎ তারও আগে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যে আইনসঙ্গত, পরোক্ষে তা স্পষ্ট। আইনে বলা হয়েছে বর চাইলেই শারীরিক মিলনে সায় দিতে বাধ্য স্ত্রী। জোর করে সম্পর্ক স্থাপন করাকে কখনওই আইনের চোখে ধর্ষণ হিসেবে ধরা হবে না।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, মেয়েদের অধিকার খর্ব করতে যা যা করা সম্ভব, তারই ফতোয়া জারি হবে এই বিলে। পার্লামেন্টের প্রতিনিধিরা অবশ্য সে কথা মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, দৈনন্দিন জীবনে মানুষ যে সব প্রথা মেনে চলে, সেগুলোকেই আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। যেমন, বহুবিবাহ করেছেন এমন ব্যক্তিকে প্রত্যেক স্ত্রী-র সঙ্গে কত রাত কাটাতে হবে, তা বলে দেওয়া হবে নয়া আইনে।