খবর ছড়িয়েছিল অসুস্থতার কারণে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে বেরিয়ে আসতে চলেছেন জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। এমনকী সোমবারের সাংবাদিক বৈঠকেও সে রকমই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উইকিলিকস-কর্তা স্বয়ং। পরে অবশ্য তাঁর মুখপাত্র জানান, ব্রিটেন গ্রেফতারি প্রশ্নে সুর নরম করার পর মুহূর্তেই দূতাবাস ছাড়বেন অ্যাসাঞ্জ। তবে সেটা যে এখনই হচ্ছে না তা স্পষ্ট। কারণ অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে আজও অনমনীয় ব্রিটেন।
২০১২ সালের জুনে সুইডেনের হাতে প্রত্যর্পণ এড়াতে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন উইকিলিকস-কর্তা। তাঁর বিরুদ্ধে দুই মহিলাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিল সুইডেন। শুনানির জন্য অ্যাসাঞ্জকে নিজেদের হেফাজতে পেতে ব্রিটেনকে অনুরোধ জানিয়েছিল সুইডেন। বিরোধিতা করে ব্রিটেনের আদালতে আবেদন জানিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁর যুক্তি ছিল, এই মামলার নাম করে সুইডেনে এনে পরে তাঁকে আমেরিকাতেই পাঠানো হবে। এক বার যদি মার্কিন মুলুকে তিনি যান, তবে সেনাবাহিনীর গোপন তথ্য ফাঁসের অপরাধে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেবে আমেরিকা। ব্রিটেন অবশ্য এ সব যুক্তিতে কান দেয়নি। গত দু’বছর ধরে ইকুয়েডর দূতাবাসের আশপাশে পুলিশ প্রহরা বসিয়েছে তারা। এই প্রহরা খাতে প্রায় সাত মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করে ফেলেছে ব্রিটেন।
বৈঠকে অ্যাসাঞ্জ এ দিন প্রশ্ন তোলেন, “আমার পিছনে এত অর্থ খরচ না করে হাসপাতাল কিংবা গরীবদের খাবারের ব্যবস্থা করতে কেন খরচ করছে না ব্রিটেন?” পাশাপাশি জানিয়ে দেন, তাঁর শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে যে খবর ছড়িয়েছিল, তা ঠিক নয়। দু’বছর ধরে বাইরের দুনিয়ার থেকে টানা বিচ্ছিন্ন থাকায় ক্লান্ত তিনি। কিন্তু এর বেশি কিছু নয়। বৈঠকে তখন তাঁর পাশে বসে ইকুয়েডরের বিদেশমন্ত্রী রিকোর্দো পাতিনো। তিনি বলেন, “আমরা এখনও ওঁকে নিরাপত্তা দেব...পাশাপাশি অ্যাসাঞ্জের মানবাধিকার আর যাতে লঙ্ঘন না হয় সে জন্য ব্রিটিশ ও সুইডিশ সরকারের সঙ্গেও আলোচনা চালাতে রাজি আমরা।”