গোটা স্কুলবাড়িটাই গণকবর! ছড়িয়ে ছিটিয়ে মৃতদেহের স্তূপ। পচাগলা দেহগুলির বেশিরভাগেরই মাথা কাটা!
ইরাকের মসুল শহরের দক্ষিণে হামাম আল-আলিলের একটি কৃষি বিদ্যালয় থেকে এমনই সব বিকৃত দেহ উদ্ধার করেছে ইরাকি বাহিনী। সোমবার, মসুল থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরের এই শহরটি জঙ্গিদখল মুক্ত করেছে বাহিনী। দেহগুলি একটাই বিকৃত যে বোঝার উপায় নেই এর মধ্যে কত সেনা বা কত জন আম জনতা রয়েছেন!
গত এক মাস ধরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) কব্জা থেকে মসুল শহর দখলে ময়দানে নেমেছে ইরাকের জাতীয় সেনা। মার্কিন সেনার সাহায্যে ইরাকের নেতৃত্বাধীন এই বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে কুর্দ ও পেশমেরগারাও। সেনা সূত্র বলছে, প্রাথমিক পর্বে পায়ের তলার জমি বাঁচাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠীকে। আইএস প্রধান আবু বকর আল বাগদাদির নামে প্রকাশিত একটি অডিও টেপে ইতিমধ্যেই জান লড়িয়ে দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে সংগঠনকে!
সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের শরণার্থী সংক্রান্ত দফতর জানিয়েছে, নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ভিন্রাজ্য থেকে জঙ্গিরা তুলে আনছিল কিশোর-যুবকদের। যাদের বাহিনীর সামনে এগিয়ে দিয়ে আড়াল থেকে লড়াই চালিয়েছে জঙ্গিরা। আর খুঁজে আনা হচ্ছে বছর বারো-চোদ্দোর কিশোরদের। তামাম মসুল শহরে আইএসের দখল করা স্কুলগুলিতেও দেওয়া হচ্ছে বন্দিদের মাথা কাটার প্রশিক্ষণ। এই রকমই এক স্কুল-পড়ুয়ার বাবা হামিদ বলেছেন, ‘‘স্কুলগুলির বাইরে বিরাট টিভি লাগানো থাকে। সেখানে দেখানো হয় কী ভাবে মাথা কাটতে হবে। কী ভাবেই বা বানানো হবে আত্মঘাতী বোমা।’’ সে সব স্কুলে প্রবেশাধিকার শুধু ছেলেদের। আর এই স্কুল-ঘাঁটিতেই বন্দি করে আনা মানুষদের উপর নির্মম অত্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে জঙ্গিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy