Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪
Nazi

Nazi: নাৎসি বন্দিশিবিরের রক্ষী! এই অপরাধে ১০১ বছরের বৃদ্ধকে পাঁচ বছরের জেল

নাৎসিদের সাচসেনহাউসেন বন্দি শিবিরের রক্ষী ছিলেন। এই অপরাধে কারাদণ্ড হল ১০১ বছরের এক প্রবীণের। শতায়ু কারও যুদ্ধপরাধের বিচার এই প্রথম।

১০১ বছরের জোসেফের পাঁচ বছরের জেল

১০১ বছরের জোসেফের পাঁচ বছরের জেল

বার্লিন শেষ আপডেট: ২৮ জুন ২০২২ ২১:১৪
Share: Save:

নাৎসিদের সাচসেনহাউসেন বন্দি শিবিরের রক্ষী ছিলেন। এই অপরাধে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল ১০১ বছরের এক প্রবীণকে। এর আগে শতায়ু কারও যুদ্ধপরাধের বিচার চলেনি।

জার্মানির বার্লিনের উত্তরে ওরানিয়েনবার্গে ছিল সাচসেনহাউসেন কনসেনট্রেশন ক্যাম্প। সেখানে ১৯৪২ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত রক্ষী ছিলেন জোসেন স্কুয়েৎ‌জ। তাঁর বয়স তখন ২১। এখন ব্র্যান্ডেনবার্গ স্টেটে থাকেন। পেনশনে সংসার চালান।

সোমবার ছিল বিচারের শেষ দিন। শুনানিতে এসে দাবি করেন, তিনি নিরপরাধ। ‘কিছুই করিনি। কেন আমি এখানে, জানি না।’ যদিও সরকারি কৌঁসুলির অভিযোগ, সব ‘জেনেবুঝে ও স্বেচ্ছায়’ তিন হাজার ৫১৮ বন্দির হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন জোসেফ। ১৯৪২ সালে ফায়ারিং স্কোয়াডের সামনে বন্দিদের দাঁড় করিয়ে তাঁদের হত্যায় সাহায্য করেন। কিছু জনকে বিষাক্ত জাইকলন বি গ্যাস ছড়িয়ে হত্যায় প্ররোচনা দেন।

১৯৩৬ থেকে ১৯৪৫ সালে সাচসেনহাউসেন শিবিরে দু’লক্ষ ইহুদি, হিটলার-বিরোধী, সমকামীদের বন্দি করা হয়। তাঁদের মধ্যে অন্তত ১০ হাজার জন মারা গিয়েছেন। কেউ রোগে ভুগে, খিদেয়, অত্যধিক খাটাখাটনি করে মারা য়ান। বন্দিদের কেউ কেউ চিকিৎসাশাস্ত্রে পরীক্ষার কাজে ব্যবহৃত হন। অবশেষে রুশ বাহিনি এসে শিবির থেকে বাকিদের উদ্ধার করে।

শুনানিতে জোসেফ দাবি করেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন বেশির ভাগ সময় তিনি কৃষকের কাজ করেছিলেন জার্মানিতে। যদিও নথি অন্য কথা বলছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষে জোসেফকে রাশিয়ার বন্দি শিবিরে পাঠানো হয়। পরে জার্মানি ফিরে তিনি কৃষকের কাজ করেন। ২০২১ থেকে শুনানি শুরু হলেও তাঁর অসুস্থতার কারণে বারবার পিছিয়ে গিয়েছে। বয়সের কারণে সম্ভবত জেলে পাঠানো হবে না জোসেফকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nazi germany Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE