প্রতীকী ছবি।
আট জন জঙ্গি একটি বহুতলে লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর পেয়েছিল পুলিশ। বিশাল বাহিনী নিয়ে সেখানে অভিযান চালাতে গিয়ে পাল্টা জঙ্গি হামলায় মারা গেলেন ৫৫ জন সেনা ও পুলিশকর্মী। গুরুতর আহত অন্তত ৮ জন। শুক্রবার রাতে মিশরের আল-ওয়াহাত আল-বাহরিয়া এলাকার ঘটনা। ঘটনাস্থল কায়রো থেকে ১৩৫ কিলোমিটার মতো দূরে।
২০১২ সালে মিশরে ক্ষমতায় এসেছিলেন মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা মহম্মদ মুর্সি। বছর খানেকের মাথায় তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেয় দেশের সেনা। তার পর থেকে এতগুলো বছর ধরে মিশরের সেনা ও পুলিশকে লাগাতার আক্রমণের নিশানা বানিয়ে আসছে হাসম নামে এক জঙ্গি গোষ্ঠী। তাদের আক্রমণের তালিকায় রয়েছেন দেশের বিচারকেরাও। একই সঙ্গে সিনাই উপত্যকায় সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপরও গত কয়েক বছরে একাধিক হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। এই দু’ধরনের আক্রমণ সামলাতে কার্যত হিমসিম খেতে হচ্ছে মিশরের নিরাপত্তা বাহিনীকে। ২০১৪ সালে মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করে মিশরের আদালত। হাসম গোষ্ঠীর পিছনে ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএসের পাশাপাশি মুসলিম ব্রাদারহুডেরও একটা বড় অংশের প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে বলে অভিযোগ মিশর সরকারের। কালকের হামলার পিছনেও এই হাসম গোষ্ঠীকেই দায়ী করেছে দেশের সরকার। যদিও ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরেও কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। মুসলিম ব্রাদারহুডও প্রথম থেকেই হাসমের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক অস্বীকার করে এসেছে।
ঠিক কী হয়েছিল কাল রাতে? আল-ওয়াহাত আল-বাহরিয়া মিশরের পশ্চিমাংশের মরুভূমির অংশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, কাল রাতে সেখানে যখন চারটি এসইউভি নিয়ে পুলিশ ও সেনা যৌথ অভিযানে যায়, একটি বহুতলের উপর থেকে আচমকা রকেট হামলা চালায় জঙ্গিরা। বিস্ফোরণে উড়ে যায় চারটি গাড়িই। মরুভূমিতে নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় আরও বাহিনী ডাকতেও দেরি হয় পুলিশের। হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা পালিয়ে যায় বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy