এই অটোগ্রাফ ঘিরেই ছড়িয়েছে বিতর্ক। পিটিআইয়ের ছবি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভারত সফরে নিজের নাম-লেখা স্যুট পরে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। এ বার ওবামার দেশে গিয়েও ফের একপ্রস্ত বিতর্কে জড়ালেন নরেন্দ্র মোদী। অভিযোগ, জাতীয় পতাকায় অটোগ্রাফ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সরকারি তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে, মোদী যে কাপড়ের টুকরোটিতে সই করেছেন, সেটি আদৌ জাতীয় পতাকা নয়।
‘ফরচুন ৫০০’ তালিকার ৪৭ জন সিইও-র সঙ্গে গত কাল প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজের বিভিন্ন উপাদেয় পদ রান্না করেন ভারতীয় শেফ বিকাশ খন্না। সেই সুবাদে মোদী বিকাশের ভূয়সী প্রশংসাও করেন। যে ‘পতাকা’ ঘিরে এই শোরগোল, সেটি মার্কিন প্রেসিডেন্টকে উপহার দেওয়ার কথা ছিল ভারতীয় শেফের। সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি সেই পতাকাটি দেখান। বিতর্ক শুরু হয় তখনই। এর পরেই বিকাশের কাছ থেকে সেটি নিয়ে নেওয়া হয় বলে খবর।
তবে এই ‘বাজেয়াপ্ত’ করার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেন প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর ডিরেক্টর জেনারেল ফ্র্যাঙ্ক নোরানহা। তিনি জানান, ‘‘যে কাপড়টি নিয়ে বিতর্ক, সেখানে সাদা রং ও অশোক চক্র ছিল না।’’ প্রতিবন্ধী মেয়েরা পায়ের আঙুল দিয়ে ওই পতাকা বানিয়েছে। সহমর্মিতা থেকেই প্রধানমন্ত্রী তাতে সই করেছিলেন, জানান ফ্র্যাঙ্ক। যদিও সংবাদ সংস্থার ছবিতে সাদা রং ও অশোক চক্রের একাংশ ও মোদীর সই দেখা গিয়েছে।
ঘটনাটি ঘিরে বিতর্কের ঝড় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। কটাক্ষ করার সুযোগ ছাড়েনি কংগ্রেসও। কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারি টুইট করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কি ভারতীয় পতাকা বিধি সম্পর্কে জানেন না? এই আইনে স্পষ্ট বলা আছে পতাকার উপরে কিছু লিখলে তিন বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।’’ মোদীর এই আচরণ ভারতীয় দণ্ডবিধির আওতায় পড়ে কি না, জিজ্ঞেস করাতে কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘জাতীয় পতাকার সম্মান রক্ষার্থে প্রধানমন্ত্রীর নিজের ভুল সংশোধন করা দরকার। ১২৫ কোটি মানুষের যেমন জাতীয় পতাকার প্রতি দায়বদ্ধতা আছে, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে তা আরও বেশি।’’ অভিযোগের মুখে বিজেপির পাল্টা জবাব, শূন্য থেকে বিতর্ক তৈরি করে মোদীর নামে অপপ্রচার করছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy