এপ্রিলে মহাকাশে একগুচ্ছ কর্মসূচি সাজিয়েছে সংস্থাগুলি। ফাইল ছবি।
চাঁদে আবার মানুষ পাঠানোর তোড়জোড় শুরু করেছে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। সেই আর্টেমিস মিশনের পরবর্তী ধাপে কারা কারা অংশ নেবেন, তা-ও ঘোষণা করা হয়েছে। শুধু নাসা নয়, নানা দেশের নানা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সম্প্রতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। চলতি মাসে তাদের নানা কর্মসূচি রয়েছে। কেউ চাঁদে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে, কারও নজর আবার গুরুগ্রহ বৃহস্পতির উপর।
২০২৪ সালে নাসা চাঁদে মহাকাশচারী পাঠাবে। সেই অভিযানে কারা সুযোগ পাবেন, সোমবার তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চাঁদে যাবেন ক্রিস্টিনা কচ, ভিক্টর গ্লোভার, রেইড ওয়াইসম্যান এবং জেরেমি হ্যানসেন। আর্টেমিস ২ মিশনের সব রকম প্রস্তুতি এপ্রিল মাসেই শুরু হয়ে যাবে। এই মিশন আর্টেমিস ৩-এর ভিত্তি দৃঢ় করবে। আর্টেমিস ৩-এই ৫০ বছর পর চাঁদে পা রাখতে চলেছে মানুষ।
এপ্রিলে সক্রিয় ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও। তাঁদের নজরে রয়েছে বৃহস্পতি গ্রহ। এই মিশনের নাম দেওয়া হয়েছে জুপিটার আইসি মুন্স এক্সপ্লোরার মিশন, সংক্ষেপে জুস। আগামী ১৩ এপ্রিল ইউরোপীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জুস মিশনের সূচনা করবে। এই মিশনে মহাকাশে একটি মহাকাশযান পাঠানো হবে, যা বৃহস্পতি এবং তার তিনটি প্রধান উপগ্রহ গ্যানিমিড, ক্যালিস্টো এবং ইউরোপাকে পর্যবেক্ষণ করবে। বৃহস্পতির জটিল আবহাওয়া সম্পর্কে খুঁটিনাটি তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
পিছিয়ে নেই জাপানও। বেসরকারি উদ্যোগে জাপানের এক সংস্থা চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে। চাঁদের কক্ষপথে তা প্রবেশ করেছে। এপ্রিল মাসেই চাঁদের মাটি ছোঁবে সেই মহাকাশযান। জাপানের আইস্পেসের এই মিশনের নাম হাকুতো-আর। মিশনটি সফল হলে এটি হবে বিশ্বের প্রথম বেসরকারি মহাকাশযান, যা চাঁদে পৌঁছতে পেরেছে।
ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেসএক্স একটি শক্তিশালী রকেট শিপ মহাকাশে পাঠাতে চলেছে। প্রাথমিক ভাবে তার জন্য ১০ এপ্রিল নির্ধারিত হয়েছে। এই তারিখে মিশন সম্পূর্ণ না হলে ১১ এবং ১২ এপ্রিল তার জন্য অতিরিক্ত সময় পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy