ঘটনাস্থলেই ১৩ জন প্রাণ হারান। ছবি:সংগৃহীত।
পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে একটি দরগায় বিস্ফোরণে এক পুলিশ-সহ অন্তত ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন। গন্দোয়া এলাকায় ফতেপুর সাহিব দরগায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিস্ফোরণটি হয়। বালুচ সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ।
কট্টরপন্থী ইসলামি জঙ্গিরা বার বার নিশানা করেছে বালুচিস্তানের ঝাল মাগসি জেলার ফতেপুর সাহিব নামে এই সুফি দরগাটিকে। এ দিন রাতে একটি ধর্মীয় জলসা হওয়ার কথা ছিল দরগায়। তার প্রস্তুতিতে বহু মানুষ সেখানে হাজির হয়েছিলেন। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর কড়া পাহারাও ছিল। পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আসাদুল্লা কাকর জানিয়েছেন, দর্শনার্থীদের দেহতল্লাশির ব্যবস্থা ছিল। এক সন্দেহভাজন সেই দেহতল্লাশি এড়িয়ে দ্রুত দরগার মধ্যে ঢুকে পড়লে দুই পুলিশকর্মী তাকে তাড়া করেন। কিন্তু পুলিশ তাকে ধরা মাত্র সে নিজের দেহে বাঁধা বিস্ফোরকে ঠাসা জ্যাকেটের বোতাম টিপে দেয়। এক পুলিশকর্মী ঘটনাস্থলেই মারা যান। হতাহত হন বহু মানুষ।
পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছে, সম্ভবত আগে ঢুকে দর্শকাসনে বসে থাকার পরিকল্পনা ছিল আততায়ীর। জলসা বা ‘উরস’ শুরুর পরে বিস্ফোরণটি হলে হতাহতের সংখ্যা আরও বহু গুণ হতে পারত। কিন্তু তার আচরণ সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তাকে তাড়া করাতে সে আগেভাগে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই ১৩ জন প্রাণ হারান। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে দু’টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মারা যান আরও ৬ জন। আহতদের অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
উদারপন্থী সুফিবাদীদের ওপর পাকিস্তানে বারবার হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। গত কয়েক বছরে এই ধরনের
হামলায় কয়েকশো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। এ বছর গোড়াতেই শেহওয়ান শহরে সুফি লাল শাহবাজ কালান্দারের দরগায় জঙ্গিদের বিস্ফোরণে ৭২ জন নিহত হন। আহত হন ২০০-রও বেশি মানুষ। এই দরগাতেই এর আগে ২০০৫-এ জঙ্গিদের বোমা বিস্ফোরণে ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। আহত হন প্রায় ১৫০ জন। তার পর থেকেই দরগা ঘিরে কড়া পাহারার বন্দোবস্ত করেছিল প্রশাসন। কিন্তু তার পরেও এ দিনের হামলায় প্রাণহানির ঘটনা ঠেকানো গেল না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy