শুধুই অভ্যর্থনা নয়! সহিষ্ণুতাও নয়!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর তিন দিনের ভারত সফরে তাঁর উষ্মা বাড়ানোরও কিছু উপাদান রইল! রইল তাঁর ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা।
ভারতে উত্তরোত্তর বেড়ে চলা ‘অসহিষ্ণুতা’ ও ‘হিংসা’র প্রতিবাদ জানালেন সলমন রুশদি, হরি কুঁজরু, ইয়ান ম্যাকওয়ান, নীল মুখোপাধ্যায়ের মতো দু’শো বিশিষ্ট কবি, লেখক ও সাহিত্যিক। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে খোলা চিঠি লিখে।
ওই চিঠিতে প্রতিবাদী লেখক, সাহিত্যিকরা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে এ ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করতে বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তা নিয়ে ক্যামেরনকে ব্যক্তিগত স্তরে মোদীর সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা। আর্জি জানিয়েছেন, চাপ বাড়াতে এটা নিয়ে প্রকাশ্যেও কিছু বলুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
চিঠিতে তাঁরা লিখেছেন, ‘‘মৌলবাদ ও রক্ষণশীলতার বিরুদ্ধে ভারতে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে যে ভাবে দিনের পর দিন অসহিষ্ণুতা ও হিংসার শিকার হতে হচ্ছে, আর সেই ঘটনার সংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে। তা যথেষ্টই উদ্বেগের। ভারতে এর প্রতিবাদ আর নির্দিষ্ট কোনও সম্প্রদায় বা কোনও ভাষার মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তাতে সব ভাষার মানুষ, বিজ্ঞানী, শিল্পী, সাহিত্যিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, শিক্ষাবিদ, পণ্ডিত, অভিনেতাও সামিল হয়েছেন।’’
এ ব্যাপারে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখ খোলার ‘বাধ্যবাধকতা’ কোথায়, কৌশলে ক্যামেরনকে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন সে দেশের প্রতিবাদী লেখক ও সাহিত্যিকরা। তাঁরা ওই চিঠিতে লিখেছেন, ‘‘যে হেতু ব্রিটেন মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তাই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলা উচিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর।’’
এই প্রতিবাদ অবশ্য এ দিন কার্যত, শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিথরো বিমান বন্দরে নামার পরপরই। প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ‘গার্ড অফ অনার’ দেওয়ার পাশাপাশি সেই প্রতিবাদ, সমালোচনা ভেসে এসেছে টুইটারে, ফেসবুকে। তাতে নানা ধরনের বিদ্রুপও করা হয়েছে। করা হয়েছে হরেক রকমের কটুক্তিও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy