Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
International News

সংস্কারের প্রশ্নে চিনকে কেউ নির্দেশ দিতে পারে না, হুঁশিয়ারি চিনফিংয়ের

১৯৭৮ সাল থেকে উদার অর্থনীতির পথে হাঁটতে শুরু করে চিন। যার মূল কারিগর ছিলেন দেং জিয়াও পিং।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে উদার মনোভাব দেখালেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোনও রকম শিথিলতা দেখাতে রাজি নন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং।  ছবি: এএফপি।

অর্থনীতির ক্ষেত্রে উদার মনোভাব দেখালেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোনও রকম শিথিলতা দেখাতে রাজি নন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। ছবি: এএফপি।

সংবাদ সংস্থা
বেজিং শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৫৯
Share: Save:

উদার অর্থনীতির পথেই হাঁটবে চিন। তবে কারও হুকুম মেনে নয়। এ বিষয়ে কী করা উচিত বা অনুচিত তা নিয়ে চিনের উপর মাতব্বরি করতে পারে না কোনও দেশ। নাম না করেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে সরাসরি ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়ে সাফ জানালেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং। তিনি বলেন, “চিনের মানুষ কী করবেন বা করবেন না, সেই নির্দেশ দেওয়ার মতো অবস্থায় নেই কোন দেশই।”

আমেরিকা-চিন শুল্ক যুদ্ধ নিয়ে দু’দেশের মধ্যেই সম্প্রতি টানাপড়েন শুরু হয়েছিল। তার প্রভাব পড়েছিল দু’দেশের কূটনীতিতেও। যদিও চলতি মাসের গোড়াতেই ৯০ দিনের মধ্যে সে সমস্যা সামধানে সম্মত হয়েছে দু’দেশই। সে জন্য দু’পক্ষই একে অপরের উপর শর্ত আরোপ করেছে। যা পূরণ না হলে শুল্ক নিয়ে আপস করবে না বলে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছে আমেরিকা। ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের সেই প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারির পরিপ্রেক্ষিতেই এ বার এই ‘চ্যালেঞ্জ’ ছুড়লেন শি চিনফিং।

১৯৭৮ সাল থেকে উদার অর্থনীতির পথে হাঁটতে শুরু করে চিন। যার মূল কারিগর ছিলেন দেং জিয়াও পিং। সেই উদারনীতি নিয়ে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির ৪০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার এই হুঁশিয়ারি দেন চিনের প্রেসিডেন্ট।

(ইতিহাসের পাতায় আজকের তারিখ, দেখতে ক্লিক করুন— ফিরে দেখা এই দিন।)

আরও পড়ুন: মস্কোর চালেই কি প্রেসিডেন্ট হয়েছেন ট্রাম্প

আরও পড়ুন: বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখালেন এই দম্পতি, নেচে মাতালেন দর্শকদের

চলতি মাসের গোড়ায় আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে জি-২০ গোষ্ঠীর দেশগুলির বৈঠকের ফাঁকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের মধ্যে বৈঠক হয়। সেখানেই রফাসূত্রে সহমত হয় দু’পক্ষ। তাতে ঠিক হয়, ১ জানুয়ারি থেকে চিনা পণ্যের উপরে আমদানি শুল্ক বাড়াবে না আমেরিকা। নতুন করে শুল্কের আওতায় আনা হবে না কোনও পণ্যকে। অন্য দিকে, আমেরিকা থেকে খাদ্য, শিল্প-সহ বিভিন্ন পণ্যের আমদানি বাড়াবে চিনও। যাতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনা যায়। এ ছাড়া, চিন যাতে আরও আর্থিক সংস্কারের পথে এগোয় তা-ও চায় আমেরিকা। যাতে মার্কিন তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি চিনে গিয়ে নিরাপদে ব্যবসা চালাতে পারে এবং তাদের মেধাস্বত্ত্ব চুরি রোখা যায়। শুল্ক যুদ্ধের স্থায়ী সমাধানের জন্য আলোচনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও রাজি হয় দু’পক্ষ।

চিনের বিশাল বাজার দখল করতে দীর্ঘ দিন ধরেই সে দেশে পুরোপুরি ভাবে ব্যবসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলি। তবে তাদের অভিযোগ, তাতে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে ওই দেশগুলির বাণিজ্যিক সংস্থাগুলি। যদিও চিনের সংস্থাগুলি আমেরিকা-ইউরোপীয় দেশে নানা ধরনের ব্যবসায়িক সুবিধা ভোগ করছে।

আরও পড়ুন: ভারত আমাদের ঘনিষ্ঠতম বন্ধু: চিনকে স্পষ্ট বার্তা মলদ্বীপের প্রেসিডেন্টের

আরও পড়ুন: চারপাশের পশু-পাখিদের সম্পর্কে এ সব তথ্য চমকে দিতে পারে আপনাকে!

তবে এ দিন আমেরিকার নাম উল্লেখ না করেই চিনের দাবি, কোনও দেশের কাছেই বিপজ্জনক নয় চিন। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, “যে সমস্ত ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রয়োজন বা যা করা উচিত, আমরা তা করব। তবে যে ক্ষেত্রগুলিতে সংস্কারের প্রয়োজন নেই তা অপরিবর্তিতই থাকবে।”

সংস্কারের কথা বললেও, তা কোন কোন ক্ষেত্রে করা হবে, সে বিষয়ে কোনও স্পষ্ট বার্তা দেননি চিনফিং। পাশাপাশি, অর্থনীতির ক্ষেত্রে উদার মনোভাব দেখালেও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কোনও রকম শিথিলতা দেখাতে রাজি নন শি। তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে দেশে একদলীয় ব্যবস্থাই চালু থাকবে।

(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণআন্তর্জাতিক খবরজানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE