শনিবার সিঙ্গাপুরে অবশেষে দু’হাত এক হল।
মাঝে পড়ে রইল ৬০ বছরের হুমকি, আস্ফালন, পেশি প্রদর্শন, শঙ্কার ইতিহাস। একটি হাত চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং-এর। অন্য হাতটি তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মা ইং-জেয়ুর। তবে প্রাণের টান থেকে এ মিলনে বাধ্যবাধকতার চাপই বেশি। ফলে এই ‘মিলন’ কতটা স্থায়ী হবে, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।
কী আলোচনা হল আজ, তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ- কী হল না। দক্ষিণ চিন সাগরে আমেরিকার সঙ্গে আকচাআকচি নিয়ে একটি শব্দও খরচ হয়নি এই বৈঠকে। আলোচনা হয়েছে উত্তেজনা হ্রাস নিয়ে, বেজিং-তাইওয়ানের মধ্যে হটলাইন স্থাপন নিয়ে এবং আরও নিবিড় যোগাযোগ তৈরি করা নিয়ে। দুই নেতাই ১৯৯২-এর সমঝোতাকে মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন। যে সমঝোতা অনুসারে ‘এক চিন’ ধারণাটিকে মেনে নেওয়া হয়েছে। যদিও দুই নেতা এই ধারণাকে আলাদা ভাবে ব্যখ্যা করেছেন।
সামনেই তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মা-এর লক্ষ্য, তাঁর দল কুয়োমিনটাং-এর প্রার্থীকে জিতিয়ে আনা। সে ক্ষেত্রে মা তাঁর চিন-ঘেঁষা নীতিকেই আবার সামনে তুলে আনছেন। আশা, এতে দলের জনসমর্থন বাড়বে। এই সমর্থন বাড়ার আশা করছে চিনও। কারণ, বিরোধী নেত্রী তসাই ইং-ওয়েন পূর্ণ স্বাধীনতার পক্ষে। সে ক্ষেত্রে অনিবার্য হয়ে উঠবে সামরিক সংঘাত। কিন্তু চিনের সঙ্গে হাত মেলানার নীতি মা-এর দলের বিপক্ষে চলে যেতে পারে। আরও তীব্র হতে পারে চিন-বিদ্বেষ। সে ক্ষেত্রে কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্টই হবে এই বৈঠক।
আরও পড়তে ক্লিক করুন
দ্বৈরথের আবহেই মার্কিন ‘দোস্ত’ তাইওয়ানের সঙ্গে বৈঠকে বসছে চিন
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy