দাউদ ইব্রাহিম।
মুম্বই বিস্ফোরণের প্রধান চক্রী আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিম পাকিস্তানে রয়েছেন। ভারতের অভিযোগ কার্যত সত্যি প্রমাণ করে এমন ইঙ্গিত দিলেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মুশারফ। তবে একই সঙ্গে তিনি জানান, দাউদকে ভারতে পাঠাতে ইসলামাবাদের তরফে সহযোগিতার প্রশ্নই উঠছে না।
১৯৯৩ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের পর থেকেই পালিয়েছেন দাউদ। তবে আড়ালে থেকে সন্ত্রাসের জাল বিছিয়ে দিতে একই ভাবে সক্রিয় তিনি। ভারত বারবার তথ্যপ্রমাণ দিয়ে দাবি করেছে, করাচির ক্লিফটন এলাকায় বিশাল বাড়িতে অতিথির মর্যাদায় তাকে রেখে দিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু প্রতি বারই অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানি টেলিভিশনে প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট মুশারফের মন্তব্য, ‘‘জানি না দাউদ কোথায়। তিনি নিশ্চয়ই এখানে (পাকিস্তান) থাকতে পারেন। অন্যত্রও থাকতে পারেন।’’ কেন দাউদ ভারতের উপর ক্ষুব্ধ, নিজের মতো করে ব্যাখ্যাও হাজির করেছেন মুশারফ। বলেছেন, ‘‘ভারতে মুসলিমরা আক্রান্ত। দাউদ তারই প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন।’’ তবে দাউদ পাকিস্তানে থাকলেও তাঁকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া উচিত নয় বলেই মন্তব্য মুশারফের। বলেন, ‘‘ভারত অনেক দিন থেকেই পাকিস্তানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। আমরা হঠাৎ ভাল সাজতে যাব কেন, কেনই বা তাদের সাহায্য করব?’’ ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব মেহর্ষি সম্প্রতি অভিযোগ এনেছেন, দাউদ পাকিস্তানেই আছেন। কিন্তু ইসলামাবাদ তাকে ফেরাতে রাজি হচ্ছে না। এর পরেই মুশারফের মন্তব্য ভারতের দাবিকে স্বীকৃতি দিল।
ক্ষমতায় থাকাকালীনও দাউদকে নিয়ে ভারতের চাপের মুখে পড়তে হয়েছিল মুশারফকে। আগ্রায় পাক-ভারত শীর্ষ বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার আগে দাউদকে ভারতে ফেরাতে মুশারফের উপর চাপ বাড়িয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবাণী। মুশারফ তখন দাবি করেন, দাউদ পাকিস্তানে নেই। তিনি অন্য কোথাও থাকতে পারেন। ভারতীয় গোয়েন্দাদের ধারণা ছিল, ওই বৈঠকের আগেই ডনকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কোথাও লুকিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। তবে এত বছর পরে দাউদকে নিয়ে ভিন্ন সুর শোনা গেল মুশারফের গলায়।
শুধু দাউদই নয়, লাদেনের পাকিস্তানে থাকা নিয়েও প্রশ্নের জবাব দেন প্রাক্তন পাক প্রেসিডেন্ট। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওসামাকে মারা হয় যখন, কেউ জানত না তিনি ওসামা বিন লাদেন। সবাই ভেবেছিল তিনি এক ড্রাগ ব্যবসায়ী। মনে হয় না, ওসামা ওই ডেরায় টানা পাঁচ বছর ছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy