প্রতীকী ছবি।
বেশ কিছু ক্ষেত্রে বোরখা নিষিদ্ধ করা হতে চলেছে জার্মানিতে। সরকারি অফিস, বিচার বিভাগ এবং সেনাবাহিনীতে কর্মরত মহিলাদের বোরখা পরায় নিষেধাজ্ঞায় সায় দিয়ে দিল জার্মান পার্লামেন্ট। বুন্দেসরাট স্টেট পার্লামেন্ট অনুমোদন দিলেই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
জার্মানির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী থমাস দি মেইজেয়ার বলেন, ‘‘শুধু বোরখাই নয়, এ ধরণের আরও নানান সংস্কৃতির প্রতি সরকার কতটা সীমা পর্যন্ত সহিষ্ণু হবে তাও ভবিষ্যতে ভেবে দেখা হবে।’’ বহু জার্মান রাজনৈতিক নেতাই পুরোপুরি বোরখা নিযেধাজ্ঞার পক্ষে। ঠিক যেমন ভাবে ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামে তা নিষিদ্ধ হয়েছে।
কিন্তু জার্মানির সংবিধান অনুযায়ী এখনই তা সম্ভব নয় বলে মনে করেন সে দেশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী দি মেইজেয়ার।
আরও পড়ুন: চামড়া ছাড়িয়ে নেব: পদস্থ পুলিশকর্তাকে হুমকি মহিলা সাংসদের, পাশে নেই দল
সম্প্রতি জার্মানিতে বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে শরণার্থীরা হামলা চালিয়েছেন। জুলাইয়ে টিকিট না থাকায় জার্মানির বাভেরিয়ার অনুষ্ঠিত মিউজিক উৎসবে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এক শরণার্থীকে। সেই রাগে ব্যাগে করে নিয়ে আসা বোমায় বিস্ফোরণ ঘটায় তিনি। ঘটনায় ১২ জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন। তার কিছু আগে কোনও বিষয় নিয়ে কথাকাটি হওয়ার এক মহিলাকে ছুরি দিয়ে খুন করেছিলেন এক শরণার্থী। ছুরির ঘায়ে জখম হয়েছিলেন আরও দু’জন। এই দুই ঘটনার কিছু দিনের মধ্যে ফের জার্মানিদের উপরে হামলা চালান এক শরণার্থী। কুড়ুল নিয়ে জার্মানির চলন্ত ট্রেনে উঠে হামলা চালান ওই আফগান শরণার্থী। আর সবচেয়ে বড় হামলাটা হয় ২২ জুলাই। মিউনিখের একটি শপিং মলে ঢুকে ৯ জনকে গুলি করে খুন করেন ১৮ বছরের এক যুবক। সাম্প্রতিককালের এই সমস্ত হামলার ঘটনায় বোরখাতে নিষেধাজ্ঞা আনার জন্য জার্মান সরকারের উপরে চাপ আরও বাড়ছিল।
সে সমস্ত দিক বিবেতনা করেই আপাতত বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে বোরখা নিষিদ্ধ করতে সম্প্রতি তত্পর হয়েছে অ্যাঞ্জেলা মের্কেল সরকার। সরকারি অফিস, বিচার বিভাগ এবং সেনাবাহিনীতে বোরখা পরা পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে বিল আনা হয়। শুক্রবার সেই বিলে সিলমোহর দিয়ে দিল সে দেশের পার্লামেন্ট।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy