Advertisement
১৭ এপ্রিল ২০২৪

বদলার হানা মিশরীয় সেনার

মিশরীয় সেনা লিবিয়ায় ঢুকে গুঁড়িয়ে দিল একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। সেনা জানিয়েছে, ২৯ জন নিরপরাধ মানুষের হত্যার বদলা নিতেই এই অভিযান। এর পরেই টেলিভিশন বার্তায় প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল সিসি সাফ বলেছেন, জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া হয় বা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এমন যে কোনও ঘাঁটি ধ্বংস করে দিতে পিছপা হবে না তাঁর দেশের সেনা।

 কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনেরা। ছবি: সংগৃহীত।

কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনেরা। ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
কায়রো শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৭ ০৩:৪৪
Share: Save:

মিশরের মিনিয়া প্রদেশে কপটিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের উপরে হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মিশরীয় সেনা লিবিয়ায় ঢুকে গুঁড়িয়ে দিল একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি। সেনা জানিয়েছে, ২৯ জন নিরপরাধ মানুষের হত্যার বদলা নিতেই এই অভিযান। এর পরেই টেলিভিশন বার্তায় প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল সিসি সাফ বলেছেন, জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া হয় বা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, এমন যে কোনও ঘাঁটি ধ্বংস করে দিতে পিছপা হবে না তাঁর দেশের সেনা। তা সে মিশরেই হোক বা মিশরের বাইরে। কালকের হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস।

গত কাল মুখোশধারী বন্দুকবাজরা হত্যা করে ২৯ জন কপটিক খ্রিস্টানকে। দেশের সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এর প্রতিশোধ নিতেই পূর্ব লিবিয়ার ডেরনায় সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিগুলিতে বেছে বেছে হামলা চালায় মিশরের যুদ্ধবিমান। গত কাল থেকে শুরু করে দিন ও রাত মিলিয়ে মোট ছ’বার আকাশপথে হামলা চালায় মিশর। জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় এমন ডেরাগুলিতে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতেই বোমা ফেলে তারা।

ডিসেম্বর থেকে এই নিয়ে মিশরে চতুর্থ বার হামলার শিকার হল কপটিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়। মৃত্যু হল মোট ৯০ জনের। গত ৯ এপ্রিলও দু’টি শহরে কপটিক গির্জায় হামলা চালিয়ে অন্তত ৪৬ জনকে হত্যা করেছিল আইএস জঙ্গিরা। দেশ জুড়ে ৩ মাসের জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট। তার মধ্যেই গত কালের হামলা। সিসির আশঙ্কা, এ ভাবে বারবার আক্রমণের ফলে সরকারের উপর ভরসা হারাবেন খ্রিস্টানরা। তাঁরা ভাবতে শুরু করবেন, সরকারই তাঁদের নিরাপত্তা দিতে অক্ষম। তাই লিবিয়াকে পরোক্ষে সিসির হুঁশিয়ারি, ‘‘যে যে দেশ সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে, সৌজন্যের পরোয়া না করে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।’’

একই সুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও বলেন, ‘‘নিরপরাধ খ্রিস্টানদের রক্তপাত বন্ধ করতে হবে। যারা এই কাজে মদত দিচ্ছে, তারা কঠিন শাস্তি পাবে।’’ গত সপ্তাহেই রিয়াধে ট্রাম্পের মুখোমুখি হয়েছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট। সেখানে দুই রাষ্ট্রপ্রধানই সন্ত্রাসবাদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিতে সহযোগিতার বার্তা দেন। ট্রাম্পের আশ্বাস, ‘‘মিশরের বিপদে পাশে রয়েছে আমেরিকা।’’

কালকের হামলার সমালোচনা করেছেন পোপ ফ্রান্সিসও। এপ্রিলে মিশর সফরে এসে সংখ্যালঘু কপটিকদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। আজ ভ্যাটিকানের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘হতাহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন পোপ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE