দক্ষিণ চিন সাগরের খুব কাছে যৌথ নৌ-মহড়া শুরু করে দিল ভারত, আমেরিকা এবং জাপান। ‘মালাবার এক্সারসাইজ’ নামে এই বার্ষিক মহড়ার দিকে এ বার নজর রয়েছে গোটা বিশ্বের।
দু’টি পর্যায়ে হবে এ বারের মালাবার এক্সারসাইজ। প্রথম পর্যায়ের মহড়া আজ শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে জাপানের সাসেবো হারবারে। ১৪ জুন থেকে ১৭ জুন হবে দ্বিতীয় পর্যায়ের মহড়া। সেই মহড়া চলবে গভীর সমুদ্রে।
ভারতের তরফ থেকে মহড়ায় যোগ দিয়েছে চারটি যুদ্ধজাহাজ। সেগুলির মধ্যে আইএনএস সহ্যাদ্রি এবং আইএনএস সাতপুরা হল দেশে তৈরি গাইডেড মিসাইল স্টেল্থ ফ্রিগেট গোত্রের যুদ্ধজাহাজ। আইএনএস কির্চ হল গাইডেড মিসাইল করভেট। এবং চতুর্থ রণতরীটি হল আইএনএস শক্তি, যেটি একটি ট্যাঙ্কার তথা ফ্লিট সাপোর্ট শিপ। আমেরিকা পাঠিয়েছে একটি এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার, একটি ক্রুইজার এবং দু’টি ডেস্ট্রয়ার। জাপানের তরফ থেকে মহড়ায় অংশ মহড়ায় অংশ নিয়েছে একাধিক যুদ্ধজাহাজ।
মালাবার এক্সারসাইজ আগে ছিল শুধুমাত্র ভারত এবং আমেরিকার দ্বিপাক্ষিক মহড়া। পরে জাপানকেও তার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। গত বছর এই মহড়া হয়েছিল চেন্নাই উপকূলের কাছে। এ বার দক্ষিণ চিন সাগরের আশপাশের এলাকাকেই এই মহড়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে চিনকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার জন্যই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমেরিকা এবং জাপানের মতোই সরব ভারতও। আমেরিকা ও জাপান ওই অঞ্চলে আগেও যৌথ টহলদারি চালিয়েছে। ভারত আলাদা করে দক্ষিণ চিন সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করলেও এখনও পর্যন্ত আমেরিকার সঙ্গে যৌথ টহলদারিতে অংশ নেয়নি। সেই ভারত এ বার আমেরিকা ও জাপানের সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিলে দক্ষিণ চিন সাগরের খুব কাছে এবং তাও এমন একটা সময়ে, যখন দক্ষিণ চিন সাগরের দখলকে ঘিরে উত্তপ্ত আন্তর্জাতিক রাজনীতি।
আরও পড়ুন:
শুধু পরমাণু অস্ত্রে ভরসা নয়, বাহিনীর শক্তিও দ্রুত বাড়াচ্ছেন কিম জং উন
প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিন এই মহড়ার দিকে প্রতি মুহূর্তে নজর রাখছে। তবে শুধু চিনই নয়, ভারত-আমেরিকা-জাপানের এই বিরাট নৌ-মহড়ার দিকে সম্ভ্রম নিয়ে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্বই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy