ফাইল চিত্র।
ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি অংশ না নিলেও শুরু থেকেই বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রাশিয়াকে শায়েস্তা করতে চেয়েছে আমেরিকা। ওয়াশিংটনের মতো একই পথে হেঁটেছে ব্রিটেন, জার্মানি-সহ পশ্চিমী দুনিয়া। তার পরেও বন্ধ হয়নি ইউক্রেনে রুশ সেনার সামরিক অভিযান। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপে ফেলতে এ বার রাশিয়া থেকে সোনা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জার্মানিতে বিশ্বের ধনী এবং শক্তিশালী সাত দেশের আসন্ন সম্মেলনে সেই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানালেন তিনি। প্রসঙ্গত, জি-৭ বৈঠকের আগে রবিবার কিভে আবার মিসাইল হামলা শুরু করেছে রুশ সেনা। কিভের মেয়রের দাবি, রাজধানী শহরের দু’টি বাড়িতে ওই মিসাইল আছড়ে পড়েছে।
ক্রেমলিনের আগ্রাসনের শাস্তিস্বরূপ রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। জ্বালানির জন্য তারা রাশিয়া নির্ভরতা কাটাতে না পারলেও ওই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়েছে। তেল এবং গ্যাসের পর রাশিয়া সব বেশি চেয়ে রফতানি করে সোনা। এ বার তাতেও নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে মস্কোকে যে কোনঠাসা করতে চাইছে আমেরিকা, তা স্পষ্ট। মনে করা হচ্ছে, রাশিয়া থেকে সোনা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞার কথা মঙ্গলবারই আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করতে পারে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলি।
জার্মানিতে আয়োজিত এই জি-৭ সম্মেলনে হাজির থাকবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। কূটনৈতিক মহলের দাবি, রাশিয়া প্রশ্নে জি-৭ গোষ্ঠীভুক্ত বাকি দেশগুলির তরফে ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করা হতে পারে। কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধ হওয়ার পর থেকে এক মাত্র ভারতই রাশিয়া প্রশ্নে মাঝামাঝি অবস্থান নিয়েছিল। এখন দেখার, বৈঠকে ভারত কী অবস্থান নেয় এ বিষয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy