দেশের অবস্থা এমনিতেই সঙ্গিন। তার মধ্যে ইরাক যাতে টুকরো টুকরো না হয়ে যায়, সে জন্য জরুরি কূটনৈতিক পদক্ষেপ করলেন মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। গত কাল বাগদাদে প্রধানমন্ত্রী নুর আল মালিকির বৈঠকের পরে আজ এক প্রকার অঘোষিত ভাবেই ইরাকের স্বশাসিত কুর্দ অঞ্চলে চলে যান জন কেরি।
সুন্নি জঙ্গিদের ঠেকাতে বাগদাদে কাল যে বার্তা দেন, আজ আরবিলে কুর্দিস্তানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানিকে সে কথাই বলেছেন কেরি। বারজানিকে তিনি বোঝান, ইরাকের ঐক্য বজায় রাখতে এগিয়ে আসুন। ইরাকের নেতা কে হবেন, সেটা আমেরিকা বা অন্য কোনও দেশ নয়, ইরাকের মানুষকেই ঠিক করতে দিন। তাঁর বক্তব্য, বাগদাদের সরকার এমন কোনও নীতির কথা ভাবুক যাতে ইরাকে ‘সংখ্যালঘু’ সুন্নি এবং কুর্দ সম্প্রদায় আরও কর্তৃত্ব পায়। বারজানি তাঁকে বলেন, “ইরাক যে সঙ্কটের মুখোমুখি, তার সমাধান খোঁজার চেষ্টা আমরাও করছি।”
ইরাকি কুর্দরা সাদ্দামের নীতি থেকে দূরে থেকে নিজেদের স্বশাসিত এলাকাবাসী বলেই দাবি করতেন। মালিকির সঙ্গেও কুর্দের কোনও দিনই সদ্ভাব ছিল না। সম্প্রতি কুর্দ বাগদাদকে পাওনা লভ্যাংশ না দিয়ে তুরস্কের মাধ্যমে তেল রফতানির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিরোধ চরমে ওঠে। ইরাকের বর্তমান রাজনৈতিক সঙ্কটে শক্তিশালী কুর্দ প্রেসিডেন্ট বারজানির সমর্থন যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। মালিকি প্রশাসনের একাংশ মনে করছে, কুর্দদের সমর্থনে স্থায়ী সরকার হলে ইরাকি সেনাও জঙ্গিদমনে অনুপ্রেরণা পাবে।