সাত বছরের পুরনো ধর্ষণ মামলা থেকে অবশেষে নিষ্কৃতি পেতে চলেছেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ (৪৫)। সরকারি কৌঁসুলি আজ সেই তদন্ত থেকে সরে দাঁড়াতেই তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সুইডেন। যদিও সূত্রের খবর, লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাস ছাড়ার চেষ্টা করলেই অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার
করতে পারে ব্রিটেনের পুলিশ।
মামলার সূত্রপাত ২০১০-এ। সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন এক মহিলা। সেই বছরই আবার আমেরিকার বিপুল সংখ্যক ‘বিতর্কিত’ কূটনৈতিক নথি ফাঁস করে দিয়ে শিরোনামে আসে তাঁর তৈরি প্রতিষ্ঠান উইকিলিকস। ধর্ষণ মামলায় অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে সুইডেন। তাদের অনুরোধে সেই বছরই তাঁকে গ্রেফতার করে ব্রিটিশ পুলিশ। দিন দশেকের মাথায় কঠিন শর্তে অবশ্য জামিন পেয়ে যান অ্যাসাঞ্জ। উচ্চ আদালত তাঁকে সুইডেনের হাতে তুলে দিতে চাইলেও, চরম টানাপড়েনের মধ্যে ২০১২-য় ইকুয়েডর দূতাবাসে ঢুকে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন তিনি। ব্রিটেনের দাবি, গ্রেফতারি এড়াতে জামিনের শর্ত ভেঙে ওই কাণ্ড ঘটান অ্যাসাঞ্জ। তাই ধর্ষণ মামলা থেকে রেহাই পেলেও ফের তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে।
অ্যাসাঞ্জের ভয় ছিল, সুইডেনের সরকার হয়তো তাঁকে আমেরিকার হাতে তুলে দেওয়ারই ষড়যন্ত্র করছে। ‘যথেষ্ট তথ্যপ্রমাণ নেই’ বলে সে দেশের কৌঁসুলি আজ তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ানোয় খুশির হাওয়া তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলে। সুইডিশ আইনজীবীদের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে স্টকহলমের আদালতে।’’
এই মামলায় নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ দাবি করে ২০১৬-র ডিসেম্বরে ১৬ পাতার চিঠি লেখেন অ্যাসাঞ্জ। সেখানে ধর্ষণের এই অভিযোগ ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy