লন্ডন-হামলার ১০ বছর বাদে ফের সেই রকমই আরও একটি হামলার ছক কষেছিল তারা। সে বারের মতোই টিউব ট্রেন এবং বাসে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যার চক্রান্ত করেছিল দু’জন। টুইটারে নিজেদের পরিকল্পনার কথাও লিখেছিল ফলাও করে।
কোথায় হামলা চালানো হবে? ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টার না অন্য কোথাও? সে বিষয়ে শলা-পরামর্শও চেয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কিন্তু ৭ জুলাই, ২০০৫-এর সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি ফিরে আসার আগে আগেই ধরা পড়ে যায় নেপথ্যে থাকা চক্রীরা। বুধবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল সেই দম্পতির।
পঁচিশ বছরের মহম্মদ রহমান এবং তার স্ত্রী বছর চব্বিশের সানা। টুইটারে যাদের নাম ছিল ‘নিঃশব্দ বোমারু’। তবে নিঃশব্দে কাজ সারতে পারেনি তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের চক্রান্তের কথা জানিয়েই পড়ে যায় গোয়েন্দা-নজরে। টুইটারে রহমান এবং সানার কার্যকলাপ চোখে পড়লে পরিচয় গোপন রেখে তাদের গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র ধরেই পাকড়াও করা হয় ওই সন্ত্রাসবাদী দম্পতিকে।
জেরায় মহম্মদ জানিয়েছে, সানার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বোমা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক কিনেছিল সে। রিডিংয়ে তাদের বাড়িতে মজুত ছিল সেই রাসায়নিক। এমনকী বাড়ির পিছনের বাগানে ছোটখাটো একটি বিস্ফোরণও ঘটিয়েছিল তারা। ভিডিও করে রাখা ছিল সেই বিস্ফোরণের। এ ছাড়াও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে মেসেজ চালাচালি হয়েছিল তা থেকেও তাদের চক্রান্তের আঁচ পাওয়া গিয়েছে। আইএস জঙ্গিদের ভিডিও স্ত্রীকে পাঠিয়েছিল মহম্মদ।
তবে তাদের এই পরিকল্পনা কেবল দু’জনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। টুইটারেও এই নিয়ে আলোচনা করে ‘নিঃশব্দ বোমারুরা’। যেমন ১২ মে মহম্মদ টুইট করে, ‘‘ব্যস্ত ওয়েস্টফিল্ড শপিং সেন্টার না ভূতল পরিবহণ? কোন জায়গাটা ভাল? যে কোনও পরামর্শই শোনা হবে।’’ এই টুইটটি করার দু’মাস পরেই ছিল লন্ডন হামলার ১০ বছর পূর্তি। জেরায় উঠে এসেছে, হামলা চালানোর জন্য ওই দিনটিকেই বেছে নিয়েছিল দম্পতি। তবে তার আগেই ধরা পড়ে যায় দু’জন। বুধবার এক জনের ২৫ বছর, অন্য জনের ২৭ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে ওল্ড বেইলি আদালত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy